1443947652

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ অক্টোবর ২০১৫: সমপ্রতি দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এক ধরনের সন্ত্রাসে ব্যর্থ হয়ে আরেক ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেছে নিয়েছে দুবর্ৃত্তরা৷মূলত দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এসব কার্যক্রম৷রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন৷পরপর এ দুটি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের দুজন নিরীহ লোককে যেভাবে গুলি করা হয়েছে, তাতে বুঝাই যাচ্ছে দেশের অগ্রগতিকে নস্যাত্‍ করার জন্য তারা এটি করেছে৷এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জঙ্গি সংগঠন আইএসের কোনো সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, আমি আবারও জোর গলায় বলতে চাই বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই৷ তিনি বলেন, আমরা কোনো জঙ্গি সংগঠনকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দিইনি৷ সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে৷

এ দুই হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি শিগগিরই এ রহস্য উন্মোচন করতে পারব৷ এখন যা বলা হচ্ছে তা সবই অনুমানভিত্তিক৷ সব ধরনের সন্দেহকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা কাজ করছি৷মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে দুটি হত্যার ধরন একই৷ দুবর্ৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে এসেছে৷ প্রত্যেক মোটরসাইকেলে আরোহী ছিল তিনজনক করে এবং আমাদের দেশের যুবকেরাই এ কাজটি করেছে৷সারা রেদশের নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, কূটনৈতিকপাড়ায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ মোটরসাইকেলের গতিনিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যেখানে যাকে ও যে যানবাহনকে সন্দেহ হবে তখনই তল্লাশি চালানো হবে৷ আমরা সারা দেশের পুলিশ সুপারকে বলে দিয়েছি এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে৷ তবে তিনি বলেন, আমরা জানাতে চাই এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে এভাবে হত্যাকাণ্ড চালাতে হবে৷ শিগগিরই দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কারণ অনুসন্ধানে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে৷সারা দেশের বিদেশীদের নিরাপত্তায় পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজধানীতে ইতালিয় নাগরিক এবং গতকাল শনিবার রংপুরে জাপানি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা৷ হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)৷ জঙ্গি গোষ্ঠীটি এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও এক টুইট বার্তায় হুশিয়ারি দিয়েছে৷ কোনিও হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার রাতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে৷