দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ অক্টোবর ২০১৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগান হাসপাতালে বিমান হামলার ঘটনার পূর্ণ তদন্তের অঙ্গীকার করেছেন। হামলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। জাতিসংঘ এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালে হামলার তথ্য জানানোর পরও আধা ঘন্টা ধরে বিমান অভিযান চলে। এ সময় বেশ কয়েকজন রোগী আগুনে পুড়ে মারা যায়। এমএসএফ জানায়, তিন শিশুসহ কমপক্ষে সাত রোগী ও ১২ হাসপাতাল কর্মী নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়। এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লংঘন।
তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে কুন্দুুজ নগরীর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কয়েক দিন পর এ বিমান হামলা চালানো হয়। আফগান বাহিনী অবশ্য ন্যাটো মিত্রদের সহায়তায় ফের নগরীর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে।দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হাসপাতালে অবস্থান নিয়েছে। তবে এমএসএফ হাসপাতালে কোন যোদ্ধা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
এমএসএফ জানায়, কাবুল ও ওয়াশিংটনে আমেরিকা ও আফগান সামরিক কর্মকর্তাদের বারবার হামলার ঘটনা অবহিত করার পরও প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বিমান অভিযান চালানো হয়। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হামলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা দপ্তর ঘটনার পূর্ণ তদন্তকাজ শুরু করেছে। আমরা এখন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি।
ন্যাটো এর আগে স্বীকার করেছে, মার্কিন বাহিনী এ হামলা চালাতে পারে। ন্যাটোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমান হামলা চলাকালে পার্শ¦বর্তী একটি হাসপাতালের ক্ষতি হতে পারে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জায়েদ রা’দ আল হুসেইন হামলার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন। তিনি হাসপাতালে হামলার ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি একে বিয়োগান্ত, অমার্জনীয়, এমনকি সম্ভাব্য অপরাধ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।