58630_158

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ অক্টোবর ২০১৫: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইতালীয় নাগরিকের পর এবার জাপানের নাগরিককে হত্যার ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। তিনি বলেন, এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের যেকোনোভাবে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে। ইতালির ঘটনার সঙ্গে এ ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির এক বৈঠক হয়। এতে ইতালির নাগরিককে হত্যার ঘটনা বিচ্ছিন্ন, না কি আরও ঘটনা থাকার আশঙ্কা আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ জন্য বৈঠক থেকে সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়। বৈঠকের দুদিন পর আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটল।

ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক খুনের এক সপ্তাহের মধ্যে রংপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন জাপানের এক নাগরিক। ঢাকায় কূটনীতিক পাড়ায় ইতালির চেজারে তাভেল্লার খুনিদের মতো রংপুরের পল্লীতে হোসি কনিওকে হত্যা করতে দুর্বৃত্তরা এসেছিল মোটর সাইকেলে।জাপানি নাগরিক কনিওর খুনিরা মুখোশপরা ছিল বলে জানিয়েছেন রংপুরের পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে কনিও দুর্বৃত্তের কবলে পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে।রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ার স্থানীয় একটি পরিবারের দুই ভাই জাপানে থাকেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কনিও আলুটারি গ্রামে একটি ঘাসের খামার করছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথে তিনি হামলার শিকার হন। কারা কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, দুর্বৃত্তরা মোটর সাইকেলে এসে তাকে তিনটি গুলি করে। একটি গুলি তার বুকে, একটি ডান হাতে এবং আরেকটি কাঁধে বিদ্ধ হয়।গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লাও হাঁটার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও খুনিরা মোটর সাইকেলে এসেছিল বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।বাংলাদেশে চলাচলে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সতর্কতা জারির মধ্যে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ড ঘটে। তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে খুন হলেন জাপানি নাগরিক।