01-10-15-PM_Addressing The 70th Session Of UNGA-13

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১অক্টোবর ২০১৫ : সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তা মোকাবেলায় সকল রাষ্ট্রকেএকযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ভাষণে এ আহ্বান জানান।তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ মানব সভ্যতার অস্তিত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ। বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই, সীমানা নেই। তাই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকল রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে।’তিনি আরো বলেন, আসুন, আমরা আমাদের নৈতিক সাহস ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সন্তান ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ জীবন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যত রেখে যাওয়ার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামষ্টিক অঙ্গীকার অনুযায়ী একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে দারিদ্র্য, অসমতা, সন্ত্রাস, সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত এবং বিদ্বেষ ও বৈষম্য থাকবে না।তিনি বলেন, আমি নিজে সন্ত্রাস এবং সহিংস জঙ্গিবাদের শিকার। আমার পিতা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই এবং অন্যান্য নিকট আত্মীয়দের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি নিজেও কমপক্ষে ১৯ বার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস জঙ্গিবাদ এবং মৌলবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত রয়েছে, সেসব চরমপন্থী ও স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির মোকাবেলায় আমরা সদা-তৎপর।প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি টেকসই, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধশালী সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের যে আকাক্সক্ষা সেখানে কেউ যাতে পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। শেখ হাসিনা বলেন, সমাজে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠিত না হলে আমরা টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত করতে পারব না। এজন্য আমরা শান্তি সমুন্নত রাখতে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে বদ্ধপরিকর।তিনি বলেন, এই চেতনা থেকেই আমরা দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, ধর্ষণ এবং গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। যুগ যুগ ধরে এই চর্চা আমাদের সামাজিক কাঠামোরই অংশ হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা বলেন, চার দশকেরও বেশি আগে, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় ‘শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বঞ্চনা ও আগ্রাসনমুক্ত একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার” স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সেই উদাত্ত আহ্বান আজও আমাদের জাতীয় উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে সম্পৃক্ততার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে এমন এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগুচ্ছি যেখানে দারিদ্র্য, অসমতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এর আগে আমি রূপকল্প-২০২১’ উপস্থাপন করেছিলাম। এর মাধ্যমে আমরা একটি মধ্যম-আয়ের, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি অর্থাৎ ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে চাই। উন্নয়নের পথে যেভাবে আমরা দৃপ্ত পদক্ষেপে অগ্রসর হচ্ছি, তাতে আমি বিশ্বাস করি, অচিরেই আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা সীমিত সম্পদ দ্বারা বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম দারিদ্র্য হ্রাসকারী দেশ হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছি। দারিদ্র্যের হার ১৯৯১ সালে যেখানে ৫৬.৭ শতাংশ ছিল, বর্তমানে তা ২২.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এমডিজি-১, ২, ৩, ৪, ৫ এবং ৬ অর্জন করেছে অথবা অর্জনের ক্ষেত্রে সঠিক পথেই এগুচ্ছে। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গত ৬ বছরে জিডিপি’র গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-’৬ থেকে ২০১৪-’১৫ পর্যন্ত রপ্তানি আয় এবং প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রেরণের পরিমাণ ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে চলতি অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ইউএনডিপি’র নিম্ন মানবসম্পদ উন্নয়নের দেশ থেকে মধ্যম সারিতে উন্নীত হয়েছে এবং বিশ্ব ব্যাংকের মান অনুযায়ী নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি, বিপুল সংখ্যক যুব সম্প্রদায়কে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য বিনিয়োগ করা হলে তা ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে। এজন্য আমার সরকার শিক্ষা এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। আমরা ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যন্ত ১ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপবৃত্তির আওতায় এনেছি। ঝরে পড়া রোধে মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাকে সম্পূর্ণ অবৈতনিক করা হয়েছে। এ বছরের প্রথমদিনেই আমরা সারাদেশে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ৩২৬.৩৫ মিলিয়ন পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১.৫৯ বিলিয়ন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। সমগ্র বিশ্বে এ ধরণের উদ্যোগ সম্ভবত এটাই প্রথম।তিনি বলেন, আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করছি। এগুলো থেকে জনগণ ২০০-এর বেশি সেবা গ্রহণ করছেন। গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনমুখী সম্পদে নারীর প্রবেশাধিকার এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ফলাফল দৃশ্যমান হচ্ছে। একইভাবে আমরা আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন এবং সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম ও অন্যান্য বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার আদায়ে জাতিসংঘে আমরা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছি। আমাদের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টারই ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- জলবায়ু পরিবর্তন। এটি একটি মারাত্মক উন্নয়ন হুমকি হিসেবে আর্বির্ভূত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব না হলে, আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা এগিয়ে নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না। নতুন উন্নয়ন এজেন্ডায় পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে আমাদের এই ধরিত্রী, এর প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু সংরক্ষণের জন্য সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের দৃঢ় প্রত্যয় থাকতে হবে। আমাদের সামনে সামান্যই সুযোগ অবশিষ্ট আছে। এ বিশ্বকে নিরাপদ, আরও সবুজ এবং আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে আমাদের অবশ্যই সফল হতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে- সার্ক, বিমস্টেক এবং বিসিআইএম-ইসি-এর মত আঞ্চলিক সংস্থা প্রতিষ্ঠায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। এছাড়া, বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত এবং নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য আমরা অবকাঠামো উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়েছি।তিনি বলেন, অভিবাসন এবং মানব চলাচল আজ নতুনভাবে ইতিহাস এবং ভৌগলিক পরিসীমা নির্ধারণে নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডায় উন্নয়নের জন্য অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপযোগ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অভিবাসনের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছরে শান্তিরক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যতম প্রধান শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গর্বিত।

শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের সাহসী শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যগণ বিশ্বের ৪০টি দেশের ৫৪টি মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন। আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অবদান জাতিসংঘের শান্তি অন্বেষায় আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদার করেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে স্থল এবং সমুদ্র সীমানা সমস্যা সংক্রান্ত সমস্যাগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। গত ৩১ জুলাই মধ্যরাতে আমরা ভারতের সাথে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় করেছি। যার মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার রাষ্ট্রবিহীন ছিটমহলবাসী তাঁদের পছন্দের রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পেরেছেন। তাঁদের দীর্ঘদিনের মানবেতর জীবনের অবসান হয়েছে। এ কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা সমগ্র বিশ্বের কাছে কূটনৈতিক সাফল্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছি।

এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে, কেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা এখনও চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে আমরা এই ধরণের পরিস্থিতি দেখেছি। পাকিস্তান ও ভারতের দল বাংলাদেশে খেলেছে। এমনকি, বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলাও এখানে আয়োজন করা হয়েছে। এটি নিতান্তই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপার যে, তারা কেন হঠাৎ করে বাংলাদেশে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তিনি বলেন, অতীতে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে বেশ কয়েকটি ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। খেলোয়ারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ও সংশ্লিষ্টদের রয়েছে এবং আমাদের জনগণও এ ব্যাপারে খুবই সচেতন।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সফরের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।