দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১অক্টোবর ২০১৫ : আগামী দুই-তিন বছরে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন,‘জাপান বাংলাদেশকে অস্ত্র এবং হ্যান্ডস্গ্লোব ছাড়া সকল পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানির সুযোগ দিয়েছে। গত এপ্রিল থেকে ওভেন এবং নিটওয়্যার পণ্য রফতানিতে শর্ত শিথিল করেছে।এর ফলে জাপানে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আরো বৃদ্ধি পাবে। আশা করা যায় আগামী দুই-তিন বছরে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিহিরো সেকির নেতৃত্বে সফররত বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে এক বৈঠকশেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগি। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বানিজ্যে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।গত পাঁচ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি দ্বিগুনের বেশি হয়েছে।২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি ছিলো ৩৩ কোটি ডলারের,একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করে ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের পণ্য। গত ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এই রফতানি বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ কোটি ৫২ লাখ ডলারে। আর আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।বিগত পাঁচ বছরে বাণিজ্য ঘাটতি ৭১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার থেকে কমে ৫৯ কোটি ৮৭ ডলার হয়েছে। বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে।
বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগ পরিবেশ বিদ্যমান উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন,‘জাপানের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।সরকার জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য গাজীপুরে ৫০০ একর অথবা নারায়নগঞ্জে ১৫০০ একর জায়গা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানের বিনিয়োগ এলে আমরা লাভবান হবো।’তিনি জানান,বাংলাদেশের ইপিজেডে জাপানের ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। সারাদেশে জাপানের ২৩০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। জাপানের ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিহিরো সেকি বলেন,বাংলাদেশের সাথে জাপানের চমৎকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিরাজ করছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এই সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করেছে।এখন জাপানের অনেক ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে জাপানের সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেন।ইয়োশিহিরো সেকি ২৭ সদস্যের জাপানী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এতে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবো উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেছি, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) জহির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) মনোজ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।