ইতালীয় নাগরিক হত্যায় তিন মোটিভ নিয়ে তদন্ত

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১অক্টোবর ২০১৫ :  ইতালীয় নাগরিক তেভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনটি মোটিভকে সামনে নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে কোনো মোটিভই স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন ।তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির কর্মস্থলে পেশাগত রেষারেষি বা ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দাবি সম্বলিত একটি ওয়েবসাইটের দাবিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কোনো বিশেষ গোষ্ঠি এটা ঘটিয়েছে কিনা তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘গসিপ’ প্রকাশ করছে।সেগুলোতে আমরা কান দিচ্ছি না। আমরা আমাদের মতো করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থেই এখন তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার (ডিসি-পূর্ব) মাহাবুব আলম এবং পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আব্দুল আহাদসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে তেভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে আইএস-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে দায় স্বীকারের কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে মফিজুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগেও এই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকারীরা কোন পথ অবলম্বন করেছে তা দেখার জন্য আবারও পরিদর্শন করলাম। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘গসিপ’ প্রকাশ করছে। তবে সেগুলোতে কান দিচ্ছি না আমরা। আমরা আমাদের মতো করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থেই এখন তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। দ্রুত উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন । তাবেলা নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা আসিসিও কোঅপারেশনের একটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।