দৈনিকবার্তা-ঝিনাইগাতী, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : সারা দেশে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও নির্মিত হয়নি কোন ব্রিজ, বাশেঁর সাকোঁই ৫ গ্রামের প্রায় ১০হাজার লোকের একমাত্র ভরসা। এমনই তথ্য পাওয়া গেছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া দরগারপাড় গ্রামে। গ্রাম ৫টিকে বিছিন্ন করে রেখেছে মালিঝি নদী। সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘাগড়া দরগারপাড়, শালধা, মাছপাড়া, খিলাগাও ও শাকপাড়া এই ৫টি গ্রামে প্রায় ১০হাজার লোকের বসবাস। আর তাদের চলাচলের একমাত্র পথ মালিঝি নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাকোঁ।
ওই বাঁশের সাকোঁটিও গ্রামবাসীদের উদ্দ্যেগে নির্মিত। সরকারী নজরদারীতে এ নিগৃহীত এলাকাটি কখনো নজরে আসেনি, স্থানী ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও করেনি কোন সহযোগীতা। সরকার আসে, সরকার যায়, নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বারংবার ব্রিজ নির্মানের আশ্বাসে ওই এলাকায় ভোটের জন্য গেলেও, নির্বাচন শেষে তাদের খোঁজ আর কেউ নেয়না। এমনিই অভিযোগের সুরে কথাগুলো বললেন ওই গ্রামের শাহজামাল, আঃ রেজ্জাক, নুরল ও সহিজ উদ্দিন। গ্রামগুলো কৃষি নির্ভর এলাকা হওয়ায় তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে যেমন কষ্ট হয় তেমনি পরিবহন খরচও বেশী লাগে। এছাড়া ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকোঁ দিয়ে পাড়াপাড়ের সময় আহত ও পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই। সাকোঁটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় অনেকেই কলার ভেলা দিয়ে পাড়াপাড় হন। বিদ্যালয়ে যাওয়া কোমলমতি শিশু ও বৃদ্ধরা ওই বাঁশের সাকোঁতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় হয়। উপজেলার ঘাগড়া দরগারপাড় মালিঝি নদীর উপর ব্রিজ নির্মানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি দাবী জানান গ্রামবাসীরা । এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইতিপূর্বে সরকারী বরাদ্দের মাধ্যমে একই নদীর আরেক পান্তের গাড়ীখাত নামক স্থানে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মান করে দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে বরাদ্দ পাওয়া গেলে ঘাগড়াদরগারপাড়ের মালিঝি নদীতেও একটি কাঠের ব্রিজ নির্মান করবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।