দৈনিকবার্তা-মংলা,২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : পর্যটক পদচারনায় মুরখিত হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের করমজলসহ বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্থান। ঈদের দু’তিন দিন আগে থেকে সুন্দরবনে আসতে শুরু করে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। কিন্তু ঈদের পরও দু’তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখন বন জুড়ে রয়েছে পর্যটকদের ঢল। আর পর্যটকদের টানা এই আনাগোনা থাকবে আসছে দুর্গাপূজা পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ। করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় জানান, ঈদের শুরু থেকে এখন (সোমবার) পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় সহ¯্রাধিক পর্যটক শুরু করমজল পর্যটন কেন্দ্রে আসছে। এছাড়া বনের হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, কটকা, কচিখালী ও দুবলাচর সহ বিভিন্ন স্পটেও প্রচুর দর্শনার্থী ভ্রমণ করছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী চাপ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বল্প সংখ্যক বনের কর্মচারীদের। তারপরও পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করছে তারা। এছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে করমজল পর্যটন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও বাতিল করা হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরবন ভ্রমনে আসা পর্যটকরা সাধারণ মংলা হয়েই বনে প্রবেশ করে থাকেন। আর মংলা থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান হলো সুন্দরবনের করমজল। যারা অধিক ব্যয়ে বনের গহীনে যেতে পারেন না তারা স্বল্প খরচেই করমজল ঘুরে দেখেন। করমজলে রয়েছে দেশের একমাত্র লবণ পানির কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র। সম্পতি গড়ে উঠেছে কচ্ছপের প্রজনন কেন্দ্র। এছাড়া রয়েছে কৃত্রিম পদ্ধতি তৈরি ছাড়া হরিণ ও বানরের আবাসস্থল, সুউচ্চ ওয়াচটাওয়ার, ফুট টেইলারসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থাপনা। এছাড়া বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা, পশু-পাখি, বন্যপ্রাণী দেখে দর্শনাথীরা তাদের তৃপ্তি মিটিয়ে থাকেন। তবে সুন্দরবনের এ সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আরো বেশি আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলা হলে দিনকে দিন পর্যটকের সংখ্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
মংলার পর্যটন ব্যবসায়ী ‘দি সাউদার্ন ট্যুরস’র মালিক মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে পর্যটকদের আগমন খুব বেশি। এতে আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি তাদের আয়ও বেশি হচ্ছে, আমরা চাই সারা বছর ধরেই যেন এই অবস্থা বিরাজ থাকে। তবে তিনি আরো বলেন, যারা সুন্দরবন ভ্রমনে আসেন তাদের জন্য বনবিভাগের কাছ থেকে পাস নিতে বাগেরহাটে যেতে হয়। এতে যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি দর্শনার্থীরা ভোগান্তির শিকার হন। তাই আমাদের পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবী, যদি মংলা থেকে এই পাস দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আমরাও উপকৃত হবো এবং দর্শনার্থীরা ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পাবেন।