Chamo of the Earth-Thenewscompany

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সন্ধ্যায় জলবায়ু পরিবর্তনে প্রথম সারির নেতৃত্বে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) সর্বোচ্চ পরিবেশ বিষয়ক সম্মান ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। ইউনেপ নির্বাহী পরিচালক আচিম স্টেইনার একজন অনুপ্রেরণাদায়ক নেতা হিসেবে প্রশংসা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করার প্রয়োজনীয়তা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশ হচ্চে প্রথম দেশ যারা জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আরো অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইউনেপ সন্ধ্যায় হোটেল সিপ্রিয়ানি লো স্পেসিয়ালিতায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চারজন অনুপ্রেরণাদায়ক পরিবেশ বিষয়ক নেতাদের হাতে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ইউনিলিভার সিইও, ব্রাজিলের কসমেটিকস প্রতিষ্ঠান নেটুরা এবং সাউথ আফ্রিকার ব্ল্যাক মাম্বা শিকারবিরোধী ইউনিট হচ্ছে এই পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তি ও সংস্থা। পুরস্কার গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব যখন সকলের জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের কথা বলে তখন আমরা আমাদের পৃথিবীর সুরক্ষা ও লালনের লক্ষ্যে অঙ্গীকারের আমাদের দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, এই পুরস্কার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের জনগণের চেতনা ও সহিষ্ণুতার একটি স্বীকৃতি। আমি আমার জনগণের পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করছি। তিনি আরো বলেন, তাদের সমর্থন ছাড়া এটা পুরোপুরি অসম্ভব ছিল। চলতি বছরের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) গুডউইল অ্যাম্বাসেডর অভিনেতা আয়ান সোমারহালডার, মডেল গিসেল বুন্ডশেন ও অভিনেত্রী নিকি রীড। অনুষ্ঠানে নতুন গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ সমর্থন করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রথম সারির নেতৃত্বে অবদান রাখার জন্য পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি ১০০ বছর ধরে জীবনধারা পরিবর্তন বিষয়ক বিজ্ঞান, অনুসন্ধান ও গল্পবলার জন্য বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছে। টেকসই, সুষম ও পরিবেশ সচেতন ব্যবসা একটি চৌকস ব্যবসা বলে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য উদ্যোগী পরিকল্পনা ক্যাগাগরিতে ইউনিলিভার এই পুরস্কার পেয়েছে। নেটুরা (ব্রাজিলের কসমেটিকস প্রতিষ্ঠান), টেকসই ব্যবসার মডেলে নতুনত্ব আনার অঙ্গীকারের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।

ব্ল্যাক মাম্বা শিকারবিরোধী ইউনিট কমিউনিটি পর্যায়ে অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসা রোধ করার অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শন করার জন্য অনুপ্রেরণা ও পদক্ষেপ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার লাভ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ কখনো বিদেশী তহবিলের জন্য অপেক্ষা করেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলো পর্যাপ্ত অর্থ দেয়ার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার বজায় রাখবে।তিনি বলেন, তাঁর সরকার নিজস্ব বাজেট থেকে ঝুঁকি মোকাবেলার লক্ষ্যে ব্যবস্থা রেখেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সময়োচিত দায়িত্ব হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় বিশ্বাসী। পুরস্কার গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলা ব-দ্বীপে শত শত বছরে বাঙালির বিশ্বাস, চর্চা ও সংস্কৃতি থেকে তা উঠে এসেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতিকূল প্রভাব স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, তাঁর সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যমান হুমকি মোকাবেলার লক্ষ্যে নিজস্ব সম্পদ আহরণ ও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উদ্ভাবনী জনগণ ও স্থানীয় সমাধান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনেছে।তিনি বলেন, ৪০ লাখ বাড়িতে সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম ‘সোলার জাতি’ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির হার ছাড়িয়ে গেছে। ফলে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এটি উন্নয়নের আরেকটি অভূতপূর্ব নজির। ইউনেপ নির্বাহী পরিচালক আচিম স্টেইনার বলেন, এই সপ্তাহান্তে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৩টি দেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ গ্রহণ করার মাধ্যমে এই পৃথিবী ও তার মানুষের জন্য একটি টেকসই পথে অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার করেছে।এটি একটি বড় সাফল্য তবে এখন কঠিন কাজ শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি, সমাজ ও পরিবেশের সকল দিক সমন্বিত করে গৃহীত ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।জাতিসংঘ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণকারী ৫জন প্রমাণ করেছে যে সকলের জন্য একটি সুষম টেকসই ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।পরিবেশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখার জন্য সরকার, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতে নেতাদের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই পুরস্কার নীতি, বিজ্ঞান, ব্যবসা ও সুশীল সমাজ ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশের নেতা থেকে তৃণমূলের আন্দোলন কর্মীদের মধ্যে ৭২ জনকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার জাতিসংঘ সদর দফতরে ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সম্মেলনে তাঁর দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন প্যারিস সম্মেলনে জলবায়ু চুক্তি কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, মানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা (এসডিজি) বাস্তবায়নে জলবায়ু চুক্তি সহায়ক হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্যারিসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন কর্মসূচি ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। আমাদেরকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সকল উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তায় নতুন করে জলবায়ু চুক্তি করতে হবে।

গাম্বিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, কাতার, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণও বক্তব্য রাখেন।শেখ হাসিনা বলেন, এসডিজি এজেন্ডা-২০৩০ গ্রহণ একটি বিশাল অর্জন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নতুন বৈশ্বিক এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৭ম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের জন্য একটি গণমুখী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য গ্রহণে অবদানকারী সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের একটি সার্বজনীন উন্নয়ন এজেন্ডা গ্রহণ খুবই জটিল কাজ। এজন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা গ্রহণের সময়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁর উপস্থিতির উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিশ্র“িিত বাস্তবায়নে গত ১৫ বছরে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে।শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস ও সংক্রামক রোগসহ এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য লাভে মূল চালিকা শক্তি ছিল তাঁর সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ অর্জন করেছে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষমতা অর্জন ও জনগণের ক্ষমতায়ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কিছু সমাধান এবং অভিজ্ঞতা এখন বৈশ্বিক সমাধানের অংশ হয়েছে। এখন আমরা অবশ্যই এজেন্ডা-২০৩০ এবং আদ্দিস আবাবা এ্যাকশন এজেন্ডার পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নে প্রতিশ্র“িিতবদ্ধ।এদিকে, তিনি রোববার এখানে হোটেল হিলটনে তাঁর সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ শাখা আয়োজিত এক সংবর্ধনায় ভাষণকালে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে কিছু আইনগত সমস্যা সমাধানে সরকার অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানের এখন পর্যাপ্ত আধুনিক বোয়িং এয়ারক্রাফ্ট রয়েছে। কিন্তু নিউইয়র্কের জে কে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালুতে কিছু আইনগত জটিলতা রয়েছে। ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ফলপ্রসূ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ তার নিজের শক্তিতে দাঁড়াতে চায়Ñএ কথা উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি সবখানে- সব সময় দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেইÑ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনে যাদের কোনো অবদান নেই, দেশের প্রতিও তাদের কোনো দরদ থাকবে না। তারা দেশকে ধ্বংস করতে চায়।শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানীদের মতো খালেদা জিয়া দেশকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপি চায় না দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, মেয়েরা স্কুলে যাক, নারীরা স্বাস্থ্যসেবা ও যুবকরা চাকরি পাক্। বিএনপি তাদের ২০০১ থেকে ২০০৬ শাসনামলে সর্বক্ষেত্রে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে দেশকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে। শেখ হাসিনা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাঁকে ব্রিটেন থেকে দেশে ফিরতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য প্রবাসীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, প্রবাসীরা জাতি গঠনের সব কর্মকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে দেশের সাফল্যের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত যে ভারতীয় পার্লামেন্টে স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাসে সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।শেখ হাসিনা বলেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবশ্যই নিজস্ব বিশেষ লক্ষ্য রয়েছে। এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে এবং এ দেশ অন্যদের সহায়তায় বেঁচে থাকতে জন্ম নেয়নি।বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে তাঁর সরকারের নিরলস প্রয়াস সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অঙ্গীকারাবন্ধ। দেশের কোথাও কোন বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন থাকবে না।তিনি বলেন, দেশের প্রতি বিএনপি ও জামায়াতের কোন দরদ নেই। ২০১৫ সালের সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা বাঙালি জাতিকে নির্মূল করতে পাকিস্তানী শাসকদের ‘পোড়ামাটি নীতি’ গ্রহণ করেছিল। বিএনপি-জামায়াত দেশের অস্তিত্বকেই ধ্বংস করতে চায়।বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, বাস জ্বালিয়েছে এবং পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে। হাজারো মানুষ তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত হয়েছে। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামায়াত যে ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কোন মানুষ তা করতে পারে না।তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তাদের এই মর্যাদা ভূলুন্ঠিত হয়। জিয়াউর রহমান সংবিধান লংঘনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন জারি করেন। তিনি দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করতে সব কিছুই করেছেন ।

ব্র“কলিন থেকে নির্বাচিত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইভেট ক্লার্ক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আবদুস সোবহান গোলাপ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন দত্ত এবং বিভিন্ন রাজ্যের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও শাহরিয়ার আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।বক্তাগণ এ বছর পরিবেশের ওপর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।