দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫: সৌদি আরবে হাজিদের পদদলিত হওয়ার প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটির জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।বৃহস্পতিবারের মর্মান্তিক এই ঘটনায় অন্তত ৭১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮৬৩ জন আহত হয়েছেন।এই ঘটনার কারণে বাদশাহ সালমান হজ সংঘটন সংস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।কর্র্তৃপক্ষ এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত শুরু করেছে। এক মন্ত্রী এই দুর্ঘটনার জন্য হাজিদের দায়ী করেছেন। তবে হাজিরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী লিবিয়ার নাগরিক আহমেদ আবু বকর (৪৫) বলেন, সেখানে অত্যন্ত ভিড় ছিল। পুলিশ একটি ছাড়া হজ ক্যাম্পের সবগুলো প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়।তিনি ও তার মা পদদলিত হওয়া থেকে থেকে রক্ষা পান।তার কাছে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশদের অনভিজ্ঞ মনে হয়েছে।মিনায় অগ্নিনিরোধক তাঁবুর কমপ্লেক্ষে হাজিরা অবস্থান করেন। কমপ্লেক্সটি ২০ লাখের বেশি মানুষের থাকার জন্য যথেষ্ট বড়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা হাজিদের নিরাপত্তা বিধান এবং যানবাহন ও ভিড় সামলাতে ১ লাখ পুলিশ মোতায়েন করেছে।
মিনায় পদদলিত হয়ে সাতশ’র বেশি হাজির মৃত্যুর পর হজ ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল-আজিজ আল সউদ এ দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। মিনায় হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে মিনায় শয়তানের স্তম্ভে’ পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলনের এ ঘটনায় নিহত হন ৭১৭ জন, আহত হন আরও অন্তত ৮৬৩ জন।এ ঘটনাকে হজের ইতিহাসে গত ২৫ বছরের মধ্যে ‘সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ বলেছে সৌদি সরকার। মাত্র ১২ দিন আগে হজ মৌসুমের শুরুতে মক্কার মসজিদ আল-হারামে ক্রেইন উল্টে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়।বিশ্বের ১৫০টি দেশের ২০ লাখের বেশি মুসলমান এবার হজ করছেন, যাদের মধ্যে এক লাখের বেশি বাংলাদেশিও রয়েছেন।সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিনার ঘটনার পর সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল আশিকসহ দেশটির রাজপুত্র, মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাদশাহ। তারপরই হজ ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার ঘোষণা আসে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজিদের চলাচল ও হজের পুরো অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা জরুরি হয়ে উঠেছে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন সৌদি বাদশাহ।এ ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে সৌদি সরকার।