দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: কোরবানি পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের সুবিধার্থে এবার পশুজবাইয়ের স্থান নিদৃষ্ট করে দিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ)। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই প্রাথমিকভাবে তৈরি তালিকায় মোট ৪৯৩টি স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ৫৩২টি স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫টি অঞ্চলের ৫৭টি ওয়ার্ডের ৩২৪টি স্থানে এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫টি অঞ্চলের ৩৬টি ওয়ার্ডের ২০৮টি স্থানে পশু জবাই করা যাবে। বর্জ্য অপসারণে সুবিধার জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেসব স্থানে কোরবানি দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। ঈদের একদিন আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্ধারণ করা ৩২৮টি স্থানে কোরবানি দেওয়া যাবে। এসব পয়েন্টে পানিসহ সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে। তবে যে কেউ বাড়ির আঙিনায়ও কোরবানি দিতে পারবেন। কোথায় কোরবানি দেবেন তা নগরবাসীর জন্য বাধ্যবাধকতামূলক নয়।পাশাপাশি ঈদের দিন সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও ঢাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন এই মেয়র। তিনি বলেন, ঈদের তিন দিনই ঢাকা শহরে কোরবানি হয়। এই তিন দিন সন্ধ্যার মধ্যেই প্রতিদিনের বর্জ্য অপসারণ করা হবে।বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করে অভিযোগ জানালে পড়ে থাকা বর্জ্য অপসারণ করা হবে।প্রতিবছর কোরবানির ঈদে রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলি ও রাস্তার ধারে পশু জবাইয়ের চিত্র দেখা যায়।
এর আগে গত সপ্তাহে স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল মালেক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কোরবানির জন্য প্রাথমিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৮৫টি এবং উত্তরে ২০৮টি স্পট নির্ধারণের কথা জানিয়েছিলেন। কোরবানির জন্য সরকারের নির্ধারিত স্থানে ইমাম, কসাই এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা থাকবেন বলেও জানান মেয়র সাঈদ খোকন। উত্তরের স্থানের মধ্যে অঞ্চল-১ এ ৪টি, অঞ্চল-২ এ ৪০টি, অঞ্চল-৩ এ ৫৮টি, অঞ্চল-৪ এ ৮৮টি এবং অঞ্চল-৫ এ ১৭টি। পক্ষান্তরে দক্ষিণে অঞ্চল-১ এ ৩২টি, অঞ্চল-২ এ ৪৩টি, অঞ্চল-৩ এ ৯৭টি, অঞ্চল-৪ এ ৫০টি এবং অঞ্চল-৫ এ ১০২টি স্থান রয়েছে।দক্ষিণের স্থানগুলোর মধ্যে অঞ্চল-১ : ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাত মসজিদ রোড ১৫ নং বাস স্ট্যান্ড হতে ১৭ নং রোডের মোড় পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে, ১৫ নং স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের রাস্তা, হাজী আফসার উদ্দিন রোডের প্রবেশ মুখ, মিতালী রোডের প্রবেশ মুখ, ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা মিরপুর রোডের পূর্ব পার্শ্বে, আল-মদিনা প্রবেশ মুখ, হাতেমবাগ রোডের প্রবেশ মুখ, ১৬ নং ওয়ার্ডের গ্রীন রোড এবং মেইন রোড, সোনারগাঁও রোড, কাঠাল বাগান, বক্সকালভার্ট, ১৮ নং ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল রোড, হাতির পুল, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, রাফিন প্লাজা, নায়েম গলি, বসুন্ধরা ও যাদব গলি, বিশ্বাস বিল্ডার্স, আইয়ুব আলী কলোনী, ১৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মালিবাগ ডি.আই.ডি. বিল্ডিং সংলগ্ন, সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয় হইতে শান্তিনগর মোড়, সার্কিট হাউজ রোড, জাজেস কমপ্লেক্স, ইস্টার্ন রোড, জঙ্গল রোড, পহিওনিয়ার রোড, সিদ্ধেশ্বরী রোড, কাজী অফিস গলি, রমনা থানার সামনে, ২১ নং ওয়ার্ডের নবাব হাবিবুল্লাহ রোড, পরিবাগ মসজিদ সংলগ্ন, বাংলা মটর।