দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: যানজট নিরসনে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ঘরমুখো মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চান। এসময় যানজট পরিস্থিতির জন্য ফিটনেস বিহীন যানবাহনকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন খাতের নেতারা তাদের কথা রাখেননি। ফিটনেস বিহীন ও ভারী যানবাহন সড়কে চলবে না বলে কথা দিলেও সেই সব গাড়ি চলছে। আমার কাছে যে তথ্য এসেছে তা হল- শুধু নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কেই ১৯টি ফিটনেস বিহীন যানবাহন অচল হয়েছে। যে কারণে আজ মানুষের এত দুর্ভোগ। মহাসড়ক উপযুক্ত। পুলিশও দিনরাত খেটে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরও আমি হতাশ। নিজেকে আজ বড় অসহায় মনে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরমুখো হাজারো মানুষ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে আটকে রয়েছেন। আমি জানি কি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। আমি এটি সহ্য করতে পারি না। রাজনৈতিক জীবনে আমি সাড়ে চার বছর জেল খেটেছি। তখনও আমি এত কষ্ট করিনি।
ঈদের আগের দিন গাড়ির চাপ, বিরূপ আবহাওয়া, দুর্ঘটনা আর কোরবানির পশুবাহী ট্রাক বিকল হয়ে ঢাকা থেকে উত্তর জনপদের পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।যানজট পরিস্থিতির জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন খাতের নেতারা তাদের কথা রাখেননি। ফিটনেসবিহীন ও ভারি যানবাহন সড়কে চলবে না বলে কথা দিলেও সেসব গাড়ি চলছে।আমার কাছে যে তথ্য এসেছে তা হলো শুধুমাত্র নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কেই ১৯টি ফিটনেসবিহীন যানবাহন অচল হয়েছে, যে কারণে আজ মানুষের এতো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।মহাসড়ক উপযুক্ত। পুলিশও দিনরাত খেটে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরেও আমি হতাশ। নিজেকে আজ অসহায় মনে হচ্ছে।ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরমুখো হাজারও মানুষ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।আমি এটি সহ্য করতে পারি না। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কি করার আছে?মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাস্তাঘাটে অনেক খেটেও ভালো ফলাফল পাচ্ছেন না বলে জানান ওবায়দুল কাদের।যানজটের জন্য চালকদের দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, সড়ক ব্যবহারকারীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। কাকে ফেলে রেখে কে আগে যাবে মহাসড়কে সেই প্রতিযোগিতা চলে।
তিনি দাবি করেন, যানজট যেন না হয় সেজন্য আগে থেকেই অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চন্দ্রা পয়েন্টে কয়েকটি বাইপাস নির্মাণ করেছি। এবারের এই পরিস্থিতি থেকে আরও শিক্ষা পেলাম। হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। আগামীতে যেন এমন পরিস্থিতি না হয় আমি সেই চেষ্টা করব।এসময় মন্ত্রীর সাথে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।