দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার পেলেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে দুর্নাম বয়ে আনেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গেছেন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে। প্রকৃতপক্ষে তিনি তার পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরে এসে দেশে আবারও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অপচেষ্টা করবেন বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই সমাবেশের আয়োজন করে।
বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তিনি লন্ডনে তার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। তিনি গেছেন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে। তার লক্ষ্য কিভাবে দেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা যায়। মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতা লাভের ৪০ বছরে দেশের কোনো রাষ্ট্রনায়ক এতোগুলো সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই অনেকগুলো পুরস্কার লাভ করেছেন। খালেদা জিয়া রাষ্ট্র পরিচালনার সময় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া দেশের জন্য কোনো পুরস্কার বা সম্মান লাভ করতে পারেননি।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব পুরস্কার লাভের বিষয়টি খালেদা জিয়া সহ্য করতে পারছেন না। তাই খালেদা জিয়া আবার গত ৫ জানুয়ারির মতো দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন। মন্ত্রী এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।আ ক ম মোজাম্মেল হক বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আজকে বিশে^র কাছে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কিন্তু যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল তারা আজো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা ২৯ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে কিন্তু কোনো গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখতে পারেনি। কারণ তারা দেশকে ভালোবাসে না, লুটপাটে ব্যস্ত থাকে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে সংগঠনের ঢাকা বিভাগীয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু ও এম এ করিম, নাট্য পরিচালক আনোয়ার হোসেন মজনু, অভিনেত্রী পারুল আক্তার লোপা, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেত্রী ফাতেমা জলিল সাথী, সংগঠনের নেতা দিলীপ সরকার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।