স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫: কোনোভাবেই কোরবানির পশুর চামড়া পাচার করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।বুধবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চামড়া পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাচারের সম্ভাব্য পয়েন্টগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য সংগঠনের নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া বিক্রি হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাটের নির্দিষ্ট জায়গাতেই পশু বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ লেনদেনের জন্য হাটগুলোতে সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে।এছাড়াও মহাসড়কে যানজট নিরসনে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোখলেসুর রহমান এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। এদিকে, যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর, কাশিপুর, বেনাপোলের পুটখালি, দৌলতপুর ও গোগা সীমান্তকে কোরবানির পশুর ‘চামড়া পাচারের রুট’ হিসাবে চিহ্নিত করে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।ব্যাপকহারে এবার চামড়া পাচার হতে পারে- ব্যবসায়ীদের এমন আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সীমান্তরক্ষীদের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব।ঢাকার পর দেশে পশুর চামড়ার সবচেয়ে বড় মোকাম যশোরের রাজারহাট। সেখানে দুই শতাধিক আড়তে ২১ জেলার ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ মোকামের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ১০ হাজার মানুষ।ঈদের পর সীমান্ত পথে চামড়া পাচার বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বেনাপোলের চামড়া ব্যবসায়ী মনির হোসেন, জামতলার নজরুল ইসলাম শাহাজী ও নাভারনের ইয়াকুব আলিও একই ধরনের কথা বলেন।

তারা বলেন, সরকার চামড়া কেনার জন্য ট্যানারি মালিকদের ঋণ দিলেও সেই অর্থের পুরোটা তারা ব্যয় করেন না। এছাড়া স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা ঋণ পান না। কোরবানির সময় তাদের হাতে টাকা থাকে না। ফলে ‘সিন্ডিকেট করে’ চামড়ার দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। তখন বেশি দামের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বেছে নেন সীমান্তের চোরাইপথ।বাগআচড়ার চামড়া ব্যবসায়ী শেখ সহিদুল ইসলাম বলেন, পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীদের পুঁজি সঙ্কটের সুযোগ নেয় চোরাকারবারীরা। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তারা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে চামড়া সংগ্রহ করে। পরে সুযোগ বুঝে পাচারকারীদের কাছে সেই চামড়া তুলে দেয়।এবার সমিতি নির্ধারিত চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে কম হওয়ায় ভারতে চামড়া পাচার বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।