দৈনিকবার্তা-রংপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫: পরিবারের লোকজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে উত্রাঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। আর আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তৎপর সরকার । হয়রানি প্রতিরোধে পথে পথে রয়েছে ট্রাফিক-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সড়ক বিভাগের জনবল, তৎপরতা রয়েছে স্থানীয় পরিবহন মালিক- শ্রমিকদেরও। উদ্দেশ্য নির্বিঘœ ঈদযাত্রা। রাজধানী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঈদের তিন দিন আগে থেকে উত্তরবঙ্গের সড়কে হয়ে প্রায় নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছেছেন যাত্রীরা। তবে, মাঝে মধ্যে পশুর হাট এবং সড়কের পাশের বাজারের জটলা সৃষ্টি করেছে কিছুটা বিঘ্ন। ঢাকার কল্যাণপুর থেকে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বাসে উঠে এসআর প্লাস পরিবহনে যাত্রী আমিনুল ইসলাম রংপুর পৌঁছেছেন রাত ১টায়। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দু’এক ঘণ্টা বেশি ব্যয় হলেও এটা তার কাছে ভোগান্তি নয় বলে জানান আমিনুল। কল্যাণপুর থেকে রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজার মো. মিঠু বলেন, এখন পর্যন্ত যাত্রা নির্বিঘœ।
সরকার ও পুলিশের তৎপরতা এবং সড়কের অবস্থা ভাল থাকায় যাতায়াতে বেশি সময় লাগছে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে উদযাপিত হবে ঈদ-উল আজহা। ঈদের আগে শেষ কর্ম দিবস বুধবার দুপুরের পর থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। শেষ কর্ম দিবসে মানুষের চাপ, পশুবাহী ট্রাকের চলাচল এবং তার ওপর বৃষ্টি হলে সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তারা। সড়কের পাশে বাজার এবং পশুর হাট যানবাহনে ধীর গতির সৃষ্টি করছে। কল্যাণপুর থেকে রংপুর আসা আগমনী পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী বলেন, গাবতলী পশুর হাটের কারণে আমিন বাজার পার হতেই সময় লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা। এছাড়া রংপুরে পৌঁছাতে সময় লাগছে সাড়ে সাত ঘণ্টা। ঢাকার প্রবেশ পথ সচল থাকলে যাত্রায় আরও কম সময় লাগতো। গাবতলী পশুর হাটের কাছে ট্রাফিক পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা থাকলেও বাড়তি চাপে কিছুটা গতি শ্লথ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, সাভার নবীনগর, বাইপাইল, আশুলিয়া এলাকায় অনেক স্থানে ভাঙাচোরা থাকায় কিছুটা সময় বেশি লাগছে।
তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের জন্য আমিনবাজার সেতুর ওপর সড়ক বিভাগের কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়। চন্দ্রা এলাকায় অন্য সময় যানজট লেগে থাকলেও এবার তা অনেকাংশে কমে গেছে। যানজট ও ঝুঁকি লাঘবে প্রশস্ত ও সেখানে নতুন বাইলেন করা হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে নিত্য যানজটের এই এলাকায়। এছাড়া নবীনগরের ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ের সংস্কারও হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে নিউজার্সি ব্যারিয়ার যানজট ও দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক ও টহল পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে গতি পেয়েছে যানবাহন। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে বিআরটিএ কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ খোঁজ-খবর রাখছেন। কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।