সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম ভান্ডার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার তিনটি শুল্কবন্দর

দৈনিকবার্তা-সুনামগঞ্জ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫:  সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম ভান্ডার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার তিনটি শুল্কবন্দর (বড়ছড়া-চারাগাও-বাগলী) সংশ্লিষ্ট অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক পরিবারে ঈদ আনন্দ ফিঁকে হয়ে গেছে এবার। ভারতীয় অভ্যন্তরীণ কারনে দফায় দফায় ৩টি বন্দরের আমদানী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্দর এলাকায় বর্তমানে সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন সংশ্লিস্ট অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেউ কেউ মানবেতর দিনযাপন করে অপেক্ষার প্রহর গুনে অবশেষে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে শহরপানে ছুটে যাচ্ছেন। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে রয়েছেন অর্ধাহারে-অনাহারে। তাই এবারের ঈদ আনন্দ ফিঁকে হয়ে গেছে এসব পরিবারে।
কবে নাগাদ আমদানি কার্যক্রম চালু হবে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না আমদানী সংশ্লিষ্টরা। জেলার ৩য় বারের শ্রেষ্ঠ করদাতা ভুষিত আমদানিকারক মোসতাক আহমদ, আমদানীকারক আব্দুস সামাদ মুন্সী, হাজী আব্দুল কুদ্দুছ, মোরশেদ আলম সাদ্দামসহ বন্দরের সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা এর আশু সমাধানে সরকারকে দ্রুত এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য,ন্যাশনলাল গ্রীণ ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) নামক ভারতীয় একটি পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বিপর্যয়জনিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ মে থেকে আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় তিনটি বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন কয়লা বন্দর। প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১০ ও ১১ জানুয়ারি দুই দিন কয়লা রপ্তানি করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে আমদানী কার্যক্রম। পরে গত ১৫ এপ্রিল চালুর পর সর্বশেষ ১লা জুলাই থেকে ৩য় বারের মতো অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে বন্দরগুলোর আমদানী কার্যক্রম।