image_268195.traybunal-

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে মঙ্গলবার প্রসিকিউশন শুনানি শেষ করেছে। আসামিপক্ষে শুনানির জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করে আদেশ দেয়।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন শুনানি করেছে। পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান এবং আসামি শামসুদ্দিন আহমেদের আইনজীবী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার গ্রেফতার একমাত্র আসামি এডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়গত ১৩ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। গত ১০ মে পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন। একটি মামলায় পাঁচ আসামি হচ্ছেন জেলার করিমগঞ্জের দুই সহোদর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মো. শামসুদ্দিন আহমেদ এবং কিশোরগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন ও আজহারুল ইসলাম।

প্রসিকিউশন গত ১৫ এপ্রিল এ মামলায় তদন্তের পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও এ পর্যন্ত আসামি শামসুদ্দিনকে ছাড়া অন্যদের গ্রেফতার করা যায়নি।তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ আসামিরা মুক্তিযুদ্ধকালে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেরগুপ বিল, পীরাতন বিল ও আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে। এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ৪০ জন সাক্ষী রয়েছেন।