দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: কোরবানির পশু জবাইয়ের বর্জ্য পরিষ্কার করতে ৩০ ঘণ্টার টার্গেট নিয়ে কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মেয়র বলেন, ৪৮ ঘণ্টা নয়, ৩০ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য সরানোর চেষ্টা করবো আমরা। এ জন্য গত একমাস থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালি কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন দীপন কুমার সাহা, আজিজ ফুড অ্যাণ্ড বেভারেজের পরিচালক আলতাফ হোসেন, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাসির, পরিচ্ছন্ন গ্র“প পিএসপির সভাপতি নাহিদা আক্তার লাকী।
তিনি জানান, ৩০ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা শহরকে পরিছন্ন করা হবে। এ লক্ষ্যে ৩৪০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ৫৭টি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে যারা কোরবানি দেবেন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ২৭৯টি পয়েন্টে কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পয়েন্টগুলোতে ইমাম ও কসাই প্রস্তুত রাখা হবে। ঢাকা সিটিকে পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীর সহযোগিতা চান মেয়র। কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে ৫টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এসব অঞ্চলে বর্জ্য থাকলে নির্ধারিত নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
ঈদ উল আযহার সময় ঢাকা শহরের পথ-ঘাট, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেবারেজ লিমিটেড এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে এরপর একটি র্যালি বের করা হয়। কোরবানি করার জন্য যে ২৭৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানেই কোরবানি করতে ঢাকা উত্তরের নগরবাসীকে অনুরোধ করেন মেয়র। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানি তথ্য সম্বলিত ২ লাখ লিফলেট বিরতণ করা হয়েছে। আপনারা সেগুলো পড়বেন। তবে বৃষ্টি হওয়ায় নির্ধারিত স্থানগুলোতে পশু কোরবানি করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মেয়র।বৃষ্টি হলে নির্ধারিত স্থানগুলোতে কোরবানি না করে এর আশপাশের স্থানে করা যায় কিনা তা ভেবে দেখারও স্থানীয়দের আহ্বান জানান মেয়র।
কোরবানিতে আজিজ ফুড অ্যাণ্ড বেভারেজ বর্জ্য সরানোর জন্য সার্বিক সহায়তা দেবে বলে জানান তিনি। মেয়র বলেন, ‘যাতে বর্জ্য সরানো যায় তার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আর পরিষ্কারের পর যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় তার জন্য পলিব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উত্তরা, কুড়িল, খিলক্ষেত, টানপাড়া, জোয়ার সাহারা, আজমপুর, আব্দুল্লাহপুর এলাকা- ০১৭১৭১০২০২৫; মিরপুর-১ থেকে ১৪, পল্লবী, এলাকা- ০১৭১১০৫৭৭৪৭৪;গুলশান, বনানী, বাড্ডা, নদ্দা, নাখালপাড়া, মগবাজার, রামপুরা- ০১৯২৩১১৩৬৩৬; শেওরাপারা, কল্যাণপুর, দারুসালাম এলাকার জন্য- ০১৭১২৫৮৪০৮৬; কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মনিপুরীপাড়া, লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের ০১৭১১৩১৩২৮৯ নাম্বারে ফোন করতে বলা হয়েছে।