NASIM-AA-1418290813-620x385

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জামায়াত চক্র থেকে সরে এসে সকল ধরনের চক্রান্ত বাদ দিয়ে সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে ফিরতে হবে। আগামী ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আবারো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।

মোহাম্মদ নাসিম মঙ্গলবার তাঁর নির্বাচনী এলাকা কাজীপুরে ৫ তলা বিশিষ্ট ডাক বাংলো ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সরকার বকুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মানুষকে জিম্মি ও খুনের রাজনীতি করে বিএনপি জামায়াত নিজেদের রাজনৈতিক কবর নিজেরাই রচনা করেছেন। তারা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেবার পায়তারা করেছিলো। কিন্তু এ দেশের জনগণ তাদের সেই অপতৎপরতা নসাৎ করে দিয়েছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে এখন এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ উন্নয়নে শেখ হাসিনা বিশ্ব সভায় নন্দিত হয়েছেন, ‘চাম্পিয়ান অফ দ্যা আর্থ’ পুরস্কার লাভ করেছেন। এটা বাঙালী জাতির জন্য গর্বের।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে এবং তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় ছিটমহল সমস্যার সমাধান, বিশাল সমুদ্র এলাকা জয়, জঙ্গী দমন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়ন সহ সার্বিক সুচকে দেশ এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে।তিনি বলেন, খুবশীঘ্র বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা পর্যন্ত নদীতীর দিয়ে চার লেনের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে একদিকে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জেলার সাথে ঢাকার দূরত্ব কমবে অপরদিকে নদী শাসনের কাজও হবে। এর ফলে যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুপুরে সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন শৃংখলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।