high-court 22_107901

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট৷

সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জে এন দেবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টেও অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন৷আদালতে শুনানিতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই ছিলেন৷ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক৷রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, শুনানি শেষে আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত৷ আমি নতুন যুক্তি দিয়ে হাইকোর্টে আবার রিট আবেদন করব৷ হাইকোর্ট বিধি মালায় বলা আছে, রুল জারি না হলে নতুন যুক্তি দিয়ে একই বিষয়ে আবার রিট আবেদন করা যায়৷প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রোববার উচ্চ আদালতে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনূছ আলী আকন্দ৷

এর আগে গত শনিবার ইউনূছ একটি উকিল নোটিশ পাঠান৷ এতে তিনি বলেন, যে প্রশ্নপত্রে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, তার সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে৷ ফাঁস হওয়া এ প্রশ্নপত্রের অনুলিপি তাঁর কাছে রয়েছে৷ ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা না নিলে এবং প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত না হলে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করবেন৷আদেশের পর জিনাত হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফল যাতে প্রকাশ না করা হয় রুলে সে বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হয়৷আদালত রিটটি খারিজ করে দেওয়ায় মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে আইনগত কোনো বাধা নেই৷ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে দাবি করে রোববার সুপ্রিম কোটের্র সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী৷আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল৷ইউনুছ আলী বলেছিলেন, মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাতিল করার জন্য শনিবার তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না আসায় তিনি রিট আবেদন করেন৷

গত শুক্রবার সরকারি- বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হয়, যাতে অংশ নেন ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী৷ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে ফল ঘোষণা করেছে, তাতে ভতির্র যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে ৪৮ হাজার ৪৪৮ জন৷এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে পরীক্ষার্থীরা৷ বিএনপিও পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে৷