দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫: বিদু্যত্ বিতরণ কোম্পানিগুলোর বর্তমানে গড়ে সিস্টেমলস ১৪ শতাংশ৷তবে ডিপিডিসির বর্তমানে এ সিস্টেমলস ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ৷অন্যদিকে ডেসকোর ছিল প্রায় ৮ শতাংশ৷বিশেষজ্ঞদের মতে, সিস্টেমলসের নামে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার বিদু্যত্ অপচয় হচ্ছে৷ এসবের সঙ্গে অসাধু গ্রাহকের পাশাপাশি বিদু্যত্ বিতরণ কোম্পানির কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ জড়িত৷ ফলে বিদু্যত্ বিতরণব্যবস্থা যত আধুনিকায়ন করা হবে, বিদু্যতের ততই সাশ্রয়ী ব্যবহার হবে৷সরকার বিদু্যত্ ব্যবহারকারীদের জন্য দ্রুত প্রি- পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছে, যাতে বিদু্যতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়৷ সিস্টেমলস শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি ( ডেসকো) গ্রাহকদের মাঝে প্রি-পেইড সরবরাহ করছে৷এ ছাড়া মিটারের মান যেন সঠিকভাবে নির্ধারণ করা এবং গ্রাহকদের যেন মিটার নিয়ে কোনও ধরনের অভিযোগ না থাকে সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে বলে জানালেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) নজরুল হাসান ৷পাশাপাশি মিটারিং কার্যক্রমসহ সব ধরনের সেবায় ডিপিডিসির কর্মকর্তাদের সব ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক৷
নজরুল হাসান জানান, ডিপিডিসি ক্রমান্বয়ে সব গ্রাহকের সংযোগের বিপরীতে প্রি- পেইড মিটার দেবে৷ ২০১৮ সালের মধ্যে ডিপিডিসির সব গ্রাহক প্রি- পেইড মিটার পাবেন৷ প্রি- পেইড মিটারের ক্ষেত্রে যেহেতু আগেই গ্রাহককে বিল পরিশোধ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে গ্রাহকরা বিদু্যত্ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন৷ এ ছাড়া বিদু্যতের অপচয়ও রোধ হবে৷ সব গ্রাহককে প্রি- পেইড মিটার দিলে টেকনিক্যাল সিস্টেমলস কিছুটা থাকলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে সিস্টেমলস শূন্যের কোটায় নেমে আসবে বলেও তিনি দাবী করেন৷তিনি আরো জানালেন, বিদু্যত্ উত্পাদন, বিতরণ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সমন্বিতভাবে পরিবর্তন আনতে হবে৷ উত্পাদন ব্যবস্থায় যেমন বৈচিত্র আনতে হবে তেমনই বিতরণ ব্যবস্থাতেও নানা মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে৷ আর বিদু্যত্ ব্যবহারে আরো সাশ্রয়ী হতে সতেচন হওয়ারও আহবান জানান তিনি ৷ ডিপিডিসির সিস্টেম লস ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ২০ দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশে কমে এসেছে৷ সামপ্রতিককালে ডিজিটাল মিটার, প্রি- পেইড মিটার ও এঙ্প্রেস ফিডার প্রবর্তনের ফলে দুর্নীতি কমেছে৷বাংলাদেশ বিদু্যত্ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বর্তমানে উত্পাদন সাড়ে ৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে৷ আর উত্পাদন সক্ষমতা রয়েছে ১৩ হাজার মেগাওয়াট৷ চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়েই উত্পাদন হচ্ছে৷ কোনো ঘাটতি নেই৷ বরং ডিপিডিসি,ডেসকো,আরইবি ও ওজিপিডো’র ডিমান্ড মিটিয়েও পিডিবির কাছে অতিরিক্ত বিদু্যত্ থাকছে৷বিদু্যত্ বিভাগের তথ্যমতে, তিন বছরের মধ্যে উত্পাদনে আসার তালিকায় থাকা বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদু্যত্কেন্দ্র রয়েছে পাঁচটি৷ একই সময়ে উত্পাদনে আসার কথা রয়েছে আমদানি করা কয়লানির্ভর তিনটি, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক দুটি ও দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক একটি বিদু্যত্কেন্দ্রের৷ গ্যাসভিত্তিক আশুগঞ্জের দুটি (উত্তর ও দক্ষিণ) প্রকল্প, ঘোড়াশাল সিসিপিপি-এসসি, ভেড়ামারা সিসিপিপি ও বিবিয়ানা-২ থেকে বিদু্যত্ পাওয়ার কথা ১ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট৷ এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের চার মাস পর গত জুনে উত্পাদন শুরু করেছে বিবিয়ানা-২৷ফার্নেস অয়েলনির্ভর কেরানীগঞ্জের বসিলা ও খুলনা ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) থেকে বিদু্যত্ পাওয়া যাবে ২০৮ মেগাওয়াট ও ফার্নেস অয়েল বা গ্যাসনির্ভর জামালপুর আইপিপি থেকে ৯৫ মেগাওয়াট৷ কয়লাভিত্তিক মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, খুলনা ও রামপাল বিদু্যত্কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৪৭২ মেগাওয়াট৷ বিবিয়ানা-২ ছাড়া বাকি বিদু্যত্কেন্দ্রগুলোর অগ্রগতি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে আছে৷
সূত্র জানায়,গ্রাহকের কাছে আরো সহজতর উপায়ে এবং আরো সুষ্ঠুভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যত্ বিতরণের জন্য ডিপিডিপি বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে যার মধ্যে জি টু জি৷ ডিপিডিসি এলাকায় বিদু্যতের চাহিদা আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ২৯০২ মেগাওয়াট এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই চাহিদা ৪২৪৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে৷ এই বিপুল পরিমান চাহিদা পূরণে বিতরণ ব্যবস্থাকে আরো দৃঢ়,আরো নির্ভরযোগ্য, শক্তিশালী এবং আধুনিকায়নের প্রয়োজন হবে৷ বিতরণ ব্যবস্থাকে আরো দৃঢ় করে ঢাকা শহরের সৌন্দর্যবৃদ্ধি সহ ডিপিডিসির বিদ্যমান সম্পদের সঠিক এবং আধুনিকব্যবহারের মধ্য দিয়ে সেবাসমূহের মান বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ডিপিডিসিকে বাণিজ্যিকভাবে একটি সফল কোম্পানিতে পরিণত ডিপিডিসি বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করবে জি টু জি প্র ল্পের মাধ্যমে৷ জি টু জি প্রকল্পের আওতায় নির্মাণের জন্য ডিপিডিসি এলাকায় প্রসত্মাবিত ৪০০/২৩০ কেভি, ২৩০/১৩২ কেভি, ১৩২/৩৩ কেভি ও ৩৩/১১ কেভি নতুন এবং পুনর্বাসনযোগ্য উল্লেখযোগ্য বলে জানা গেছে ৷ সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে ঢাকা শহরের জমির অপ্রতুলতা বিবেচনা করে হাতিরপুলস্থ ধানমন্ডি পাওয়ার হাউজ কমপ্লেঙ্ েপিডিবি ও ডিপিডিসি’র মালিকানাধীন জমিতে ভূগর্ভে ২৩০/১৩২/৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র ভূ-গর্ভে স্থাপনপূর্বক উপরিভাগে একটি বহুতল অফিস-কাম-বানিজ্যিক ভবন/ টুইন টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়৷ ঢাকা শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ধানমন্ডি এলাকার সকল ওভার হেড ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলে রূপান্তরিত করা হবে৷ এছাড়া বিদ্যমান মগবাজার/হাতিরঝিল ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্র ও উপকেন্দ্র সংলগ্ন জায়গায় ব্যবহার করে ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্রসহ বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হবে৷ এ ভবনে ডিপিডিসি’র বিভিন্ন অফিস ছাড়াও অবশিষ্ট জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ হাতিরঝিলের পাশে মগবাজার উপকেন্দ্রে নির্মিত বহুতল ভবনটি বাণিজ্যিকভাবে সর্বাধিক লাভবান ও ব্যবহার উপযোগী হবে আশা করছে ডিপিডিসি ৷
তেজগাঁও ১১ কেভি সুইচিং ষ্টেশন ও অফিস সংলগ্ন জায়গায় ব্যবহার করে ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্রসহ বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হবে৷ ভবনটি নির্মিত হলে ডিপিডিসি’র বিভিন্ন অফিস ছাড়াও অবশিষ্ট জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷কাকরাইল ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র ও উপকেন্দ্র সংলগ্ন জায়গায় ব্যবহার করে ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্রসহ বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে৷ এ ভবনে ডিপিডিসি’র এমপ্লয়িদের বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ প্রকল্পের আওতায় ২৩০ কেভি, ১৩২ কেভি, ৩৩ কেভি এবং ১১ কেভি ভূ-গর্ভস্থ লাইন সমূহকে কমন টেন্স এর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মান করা হবে৷ ফলে ভবিষ্যতে কেবল ফল্ট হলে রাস্তা খোড়াখুড়ি এড়িয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কেবল ফল্ট নির্ণয় করে কাজ সম্পাদন করা যাবে৷ ধানমন্ডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মগেট এলাকায় ৩ টি ১৩২/৩৩/১১ কেভি ভূ-গর্ভস্থ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে৷ ঢাকা শহরের জমি স্বল্পতা বিবেচনায় গ্রীণ ফিল্ড অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে উক্ত উপকেন্দ্রসমূহ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ ৷
হাতিরঝিল প্রকল্পের অভ্যন্তরের রামপুরা টু মগবাজার ও রামপুরা টু উলন ১৩২ কেভি ওভারহেড লাইন স্থানান্তরের বাস্তবায়ন কাজটি কমন টেন্স নির্মাণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে ৷প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে গাজীপুরে একটি পূর্নাঙ্গ আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মান করা হবে৷ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ও বাস্তবায়নকাল:ডিপিডিসি ও পিজিসিবি অংশের কাজের পরিধি অনুযায়ী হবে৷ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ৫ থেকে ৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে৷
ডিপিডিসির বিগত পাঁচ বছরের সাফল্য কথা এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানালেন, নতুন সংযোগ প্রদান ( ফেব্রুয়ারী-১০ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০১৫) করা হয়েছে ২,৪৩,৪৭৭ জনকে ৷১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্রে নতুন ২টি এবং ৩টির ক্ষমতা বর্ধন করে মোট ৫২৫ এমভিএ বিদু্যত্ সংযোজন করা হয়েছে৷৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রে মোট ৭টি নির্মাণ এবং ১৫টি বিদ্যমান উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মোট ৭২৫ এমভিএ বিদুত্ সংযোজন৷ সিস্টেম লস একক ডিজিটে হ্রাস ( ৯.৪১-১৩২ কেভি লেবেলে ,জুন ২০১৫) পেযেছে৷তিনি আরো জানালেন, প্রি- পেইড মিটার সিস্টেম চালু করা সহ বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা (জুন ২০১৫-০৮-২৫) ৯৯৭২৮৫ জনে পৌছেছে৷ ডিপিডিসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিপিডিসির ভবিষ্যত্ পরিকল্পনার মধ্যে ১৩২/৩৩ কেভি লেভেলে বিদ্যমান ১৩টি সাবস্টেশনকে ২০১৮ তে ২০ টি এবং ২০২১ এর মধ্যে ২৮টি বৃদ্ধিকরণ,৩৩/১১ কেভি লেভেলে বিদ্যমান ৪৩টি সাবস্টেশনকে ২০১৮ তে ৬৪ টি এবং ২০২১ এর মধ্যে ৮৫টি তে বৃদ্ধিকরণ৷ বিদ্যমান ১৩২৮ মেগাওয়াট চাহিদাকে ২০১৮ তে ২০৬৬ এবং ২০২১এর মধ্যে ২৯০২ মেগাওয়াট উন্নীত করণ বিদ্যমান ১৯৩ কিমি ১৩২ কেভি ওভার হেড ট্রান্সমিশন লাইনকে ২০১৮তে ২৩০ কিমি.তে ২২৬ কিমি এবং ২০২১ সালের মধ্যে পরিণত করাবিদ্যমান ৩৫ কিমি ১৩২ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইনকে ২০১৮তে ৯১ কিমি এবং ২০২১ সালের মধ্যে ১৪০ কিমি.তে পরিণত করাবিদ্যমান ১৫৭ কিমি ৩৩ কেভি ওভার হেড ট্রান্সমিশন লাইনকে ২০১৮তে ১৬০ কিমি.তে এবং ২০২১ সালের মধ্যে পরিণত ১৭০ কিমি করা এবং বিদ্যমান ২১১.৫০ কিমি ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইনকে ২০১৮তে ২৮৪ কিমি এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৩৩০ কিমি.তে পরিণত করা ৷
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ও বাস্তবায়নকাল: ডিপিডিসি ও পিজিসিবি অংশের কাজের পরিধি অনুযায়ী হবে৷ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ৫ থেকে ৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে৷ চীন সরকারে সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় নিধর্ারণ করা হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার ৷ডিপিডিসি সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহক পর্যায়ে বিদু্যতের দামের চেয়ে উত্পাদন খরচ অনেক বেশি৷এ খাতে প্রতিবছরই সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয় কয়েক হাজার কোটি টাকা৷ অথচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও ঠিকমতো বিল পরিশোধ করছে না৷ আর এ টাকা আদায়ে বিতরণ সংস্থাগুলোর বারবার তাগাদা সত্ত্বেও তাদের টনক নড়ছে না৷ এ নিয়ে আগে বহুবার বৈঠক হয়েছে৷ তাই এখন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে জানালেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক৷ জানা গেছে, প্রতিবছরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বাজেটে বিদু্যত্ বিলের জন্য বরাদ্দ থাকে৷ এর পরও তারা বিল পরিশোধে অনীহা দেখায়৷ এভাবে বছরের পর বছর বকেয়া জমে তা এখন পাহাড়সমান৷