দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫: অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা অবনমনের প্রতিবাদ, স্বতন্ত্র বেতন স্কেলসহ চার দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পুর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ সময় ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্ব স্ব ক্যাম্পাসে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।
শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সরকার আমাদের কোনো দাবি মেনে না নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে বেতন বৈষম্য দূর করা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করেছে। তাতে আমাদের আপত্তি রয়েছে। যেহেতু অর্থমন্ত্রীর কাছে আগে আমরা সুবিচার পাইনি,আগামীতেও তা পাব না। তিনি আরও বলেন, এ কমিটিতে সরকারের বেশকিছু সিনিয়র মন্ত্রী রয়েছে, যারা শিক্ষাবান্ধব। তবে বেশকিছু সরকারের আমলাও রয়েছেন, যারা অতীতে শিক্ষকদের নিয়ে বিষাদাগার করেছেন। তাই বেতন বৈষম্য কমিটিতেও আপত্তি রয়েছে।
এদিকে, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়নসহ শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগে পৃথক ‘শিক্ষা সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।এ সময় তারা সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ দ্রুত বাস্তবায়ন; সরকারি- বেসরকারি বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সমপরিমাণ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা, মেডিক্যাল ভাতা প্রদান; বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর নেয়ার এক বছরের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা প্রদান; নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, কর্মচারীদের সার্ভিস রুলস দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগে পৃথক ‘শিক্ষা সার্ভিস কমিশন।