দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন,মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের সংখ্যা মামলার সংখ্যা বাড়লে আরো বাড়ানো হবে৷বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি৷ আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মামলাগুলোর যে বিচারিক কার্যক্রম চলমান, তাতে একটি ট্রাইবু্যনাল দিয়েই বিচার কাজ করা সম্ভব৷ আবার যদি প্রয়োজন মনে হয়, তখন ট্রাইবু্যনালের সংখ্যা বাড়ানো হবে৷ তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ হবে না৷ মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো যতোক্ষণ আছে, ততক্ষণ বিচার কাজ চলবে৷
আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালে মামলার সংখ্যা কমে যাওয়ায় একটি ট্রাইবু্যনাল অকার্যকর করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান৷ তিনি বলেন, ট্রাইবু্যনালে ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত মামলা একটি৷ চার্জ হয়েছে পাঁচটির৷ সব মিলে ট্রাইবু্যননালের সামনে ছয়টি মামলা রয়েছে৷ আর তদনত্মাধীন মামলা আছে ছয়টি৷
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের সংখ্যা কমিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিদ্ধানত্ম প্রকাশ করা হয়৷ পুনর্গঠিত এই ট্রাইবু্যনালের নেতৃত্বে আছেন বিচারপতি আনোয়ারম্নল হক৷ তার সঙ্গে রয়েছেন- বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী৷ বর্তমানে এ একটি ট্রাইবু্যনালেই বিচার কার্যক্রম চলবে৷২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম প্রধান অঙ্গিকার ছিলো যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা৷ ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন মহাজোট দুই তৃতীয়াংশের বেশী আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে৷ সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনেই যুদ্ধপরাধীদের বিচারে সর্বসম্মত প্রসত্মাব গৃহীত হয়৷ এরপর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইবু্যনাল, তদনত্মকারী সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়৷ প্রথমে ১টি ট্রাইবু্যনালে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরম্ন হয়৷ পরে এ বিচারকে তরান্বিত করতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরো একটি ট্রাইবু্যনাল গঠন করা হয়৷ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ট্রাইবু্যনাল-১এ ১০টি ও ট্রাইবু্যনাল-২ এ ১১টিসহ মোট ২১টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়৷ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর পৃথক দুটি ট্রাইবু্যনালে ১২টি এবং আপিলে ৪টি মামলার রায় হলো৷