দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫: জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্চ করে দায়ের করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেছিলেন। তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, কামরুল হক সিদ্দিকী ও এম মঈনুল ইসলাম। ফিরোজের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও তানিয়া আমীর।
রায়ের পর এম মঈনুল ইসলাম বলেন, আদালত রিট খারিজ করে দিয়েছেন। রায়ের কপি পেলে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এর আগে ঋণখেলাপির অভিযোগে আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি দায়ে করেন জিয়াউল হক জুয়েল। তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল পৌরসভার মেয়র। এর আগে গত ১০ ফেব্র“য়ারি আ স ম ফিরোজ কোন ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে বহাল রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুলের নিষ্পত্তি করে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সাতদিন আগে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এ আইন না মেনে আ স ম ফিরোজ মাত্র চারদিন আগে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর ঋণ পুনঃতফসিল করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন তা অনুমোদন করে। ফলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (এম) ধারা অনুসারে তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নন। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আইন অনুযায়ী তিনি একজন অযোগ্য ব্যক্তি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য মতে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ফিরোজ ঋণখেলাপি ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আ স ম ফিরোজ প্রার্থী হলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ নিয়ে আপত্তি দেয়া হয়েছিল। তবে সে আপত্তি আমলে নেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।আইন অনুসারে কোনো ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না। অথচ ফিরোজের ওই ঋণ এ নিয়ে মোট আটবার পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এ পুনঃতফসিলে সোনালী ব্যাংক ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ৬৪ টাকা মওকুফ করে। এখনো সেখানে তার ২০ কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ রয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।