bnp-logo_79358

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : বিদায়ী বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিককে এক্সট্রিমলি রং হেডেড বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। দলটির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, প্রধান বিচারপতির অভিশংসন চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিচারপতি মানিকের চিঠি দেওয়ার ঘটনা দেশের বিচার ব্যবস্থায় বিরল ও বাজে নজির। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, চিঠিতে বিচারপতি মানিক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তার চেয়ে অনেক গুরুতর অভিযোগ তাঁর নিজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাঁর দুর্বিনীত মনোভাব ও ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিল যে, তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন। তাঁর এই চিঠি দেওয়ার উদ্দেশ্য প্রধান বিচারপতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা। এ চিঠি বিচারপ্রার্থীদের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা দিতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

রিপন বলেন, প্রধান বিচারপতি শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি ইনস্টিটিউশন। তিনি কোন ধর্মের লোক তা বিবেচ্য নয়। তাকে অপদস্থ করা, তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এটা কারও কাম্য নয়। আসাদুজ্জামান দাবি করেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বিচারপতি মানিকের বিষয়ে খোঁজখবর করেছিল। বিএনপি বুঝতে পেরেছিল তিনি এক্সট্রিমলি রং হেডেড। যে কারণে সে সময় মানিককে চাকরিতে স্থায়ী করা হয়নি।তিনি বলেন, এই অভিশংসন দাবির মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে বিচার প্রার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা প্রথিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এ রকম মন্তব্য বিচার ব্যবস্থার ওপর বড় আঘাত। তিনি বলেন, চোখ বন্ধ করলেই প্রলয় থামানো যায় না। সরকারের উচিত বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা বাদ দিয়ে সরকারের ভেতর যেসব কুলাঙ্গার রয়েছে তাদেরকে ড্যামেজ করে দেয়া।

বিচারপতি শামসুদ্দিনের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়া যৌক্তিক উল্লেখ করে রিপন বলেন, প্রধান বিচারপতির ওপর অভিযোগের কালিমা লেপন করতেই নানা অভিযোগ এনে তিনি তার অভিশংসন চেয়েছেন।শামসুদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রধান বিচারপতির সম্মানের জায়গায় হাত দিয়েছেন অথচ এর চেয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে শামসুদ্দিন যে মন্তব্য করেছেন তা কুরুচি সম্পন্ন বলেও মন্তব্য করেন রিপন। এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, চেয়ারপারসন দেশে না থাকলেও দলের সিনিয়র নেতারা যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। দলের পুনর্গঠনে যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁরা পুনর্গঠনে কাজ করবেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই। নেতারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন । সরকারকে উদ্দেশ করে রিপন বলেন বলেন, চোখ বন্ধ করে রাখলেই প্রলয় থেমে থাকে না। বিরোধী দলকে হামলা-মামলা দিয়ে দমনে ব্যস্ত না থেকে সরকারের ভেতরে থাকা কুলাঙ্গারদের ড্যামেজ করা উচিত।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেটআব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।