DSC_0052

দৈনিকবার্তা-ঢাকা ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: গত ১২/০৯/২০১৫ তারিখ ও ১৩/০৯/২০১৫ তারিখ মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, কল্যাণপুর, বাংলামোটর ও শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করে৷ গ্রেফতারকৃতরা হল মোঃ নিয়ামুল হাসান ওরফে সৈকত, মোঃ হারম্নন অর রশিদ, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ রমজান আলী, মোঃ রম্নবেল আহম্মেদ, মোঃ জসিম সিকদার ওরফে রানা ও মোঃ আকবার হোসেন৷ এ সময় তাদের নিকট থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পরীৰার হুবহু প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র, পরীৰার প্রবেশপত্র ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়৷

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩ ভূয়া পরিৰার্থী মোঃ নিয়ামুল হাসান ওরফে সৈকত, মোঃ হারম্নন অর রশিদ, মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে গোয়েন্দা পুলিশ ১২/০৯/২০১৫ তারিখ দুপুর ০২.০০টায় শেরেবাংলা নগর বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করে৷ তাদের দেয়া তথ্যমতে প্রকৃত পরিৰার্থী মোঃ রম্নবেল আহম্মেদ ও প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সহযোগী মোঃ রমজান আলীকে বিকেল ০৫.০০ টায় কল্যাণপুরের ওয়েস্ট পয়েন্ট হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ এ সময় তাদের কাছে পরীৰার হুবহু প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র ও পরীৰার প্রবেশপত্র পাওয়া যায়৷ পরবর্তী সময়ে রমজান আলী’র তথ্যমতে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত আরও একজন সহযোগী মোঃ জসিম সিকদার ওরফে রানাকে বাংলামোটর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ সহযোগী রানা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত মূল হোতা মোঃ আকবর হোসেন এর অবস্থান নিশ্চিত করে৷ উলেস্নখ্য আকবর হোসেন পিএসসির এমএলএসএস পদে কর্মরত৷ ১৩/০৯/২০১৫ তারিখ বিকেল ০৫.০০ টায় তাকে পিএসসি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেয়া তথ্যমতে তার বাসা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে প্রাপ্ত ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়৷

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতরা জানায় তাদের সাথে আরও কয়েক জনের সংশিস্নষ্টতা রয়েছে৷ উলেস্নখ্য যে, মূল হোতা আকবরের আরও একজন সহযোগী মোঃ বিলস্নাল হোসেন পলাতক রয়েছে৷ সে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পিএসসির এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত৷ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (উত্তর), ডিএমপি, ঢাকার ডিসি শেখ নাজমুল আলম বিপিএম, পিপিএম-বার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, এডিসি মোঃ শাহজাহানের নির্দেশনায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়৷ উপ-পুলিশ কমিশনার, মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা৷