দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের জন্য দুই দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। তিনি বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সংস্থাটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সাম্প্রতিক সম্পর্কের অগ্রগতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।বিসের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুন্সি ফয়েজ আহমদের সঞ্চালনায় সংস্থার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা দেন। এরপর ভারতের হাইকমিশনার বক্তৃতা করেন। পরে অতিথিদের প্রশ্নের উত্তর দেন ভারতের হাইকমিশনার।পঙ্কজ সরন বলেন, দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্কের অগ্রগতিকে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করার পাশপাশি এ সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে চায় ভারত। তিনি বলেন, সীমান্ত সমস্যার সমাধান ও সমদ্রসীমা নির্ধারণের পর দুই দেশের মধ্যে নতুন আস্থার সম্পর্কের সৃষ্টি করেছে। যা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা, জ্বালানি সহযোগিতা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন বলেছেন, সীমান্ত চুক্তির পর তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি সুরাহার ওপর দুই দেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। অভিন্ন নদীটির পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের জন্য দুই দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে কথা হচ্ছে।তিনি বলেন, সীমান্ত সমস্যার সমাধান ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণের পর দুই দেশের মধ্যে নতুন আস্থার সম্পর্কের সৃষ্টি করেছে; যা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা, জ্বালানি সহযোগিতা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে।ভারতের হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চারদেশীয় মোটরযান চুক্তির কথা উল্লেখ করেন। চুক্তিটি নতুন সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত করেছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।