Harun_373357741

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: মুদ্রা পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়। স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসকের প্রতিবেদন এবং তার ‘সামাজিক অবস্থান’ বিবেচনায় নিয়ে এই আদেশ দেয়া হয়।আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে হারুন-অর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু।

হাইকোর্ট শর্তসাপক্ষে জামিন দিলে তিনি ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পান। জামিনের শর্তে বলা হয়, জামিনে থাকার সময় হারুন তদন্তকাজে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগও করতে পারবেন না। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে তদন্ত কর্মকর্তা যখন ডাকবেন, তখন তাকে সহায়তা করতে হবে।আদেশে বলা হয়, তদন্ত চলাকালে হারুন-অর-রশিদ ডেসটিনির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা মামলার অন্য কোনো আসামির সঙ্গে ফোনে বা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন না। ডেসটিনি বা আটক ব্যক্তিদের পক্ষে কোনো বিবৃতি দিতে বা তদবির করতে পারবেন না। তাছাড়া ডেসটিনির কার্যালয়েও যেতে পারবেন না। হাইকোর্টের ওই আদেশে বলা হয়, শর্ত ভঙ্গ করলে নিম্ন আদালত হারুনের জামিন বাতিল করতে পারবেন। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুদক।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুই মামলায় হারুন-অর-রশিদের জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা দু’টি দায়ের করে দুদক। এতে হারুন-অর-রশিদ ছাড়াও ডেসটিনি গ্র“পের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আসামী করা হয়। অর্থ পাচারের দুই মামলায় হারুন-অর-রশিদকে ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় হাইকোর্ট। জামিনের শর্তে বলা হয়, হারুন-অর-রশিদ জামিনের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডেসটিনির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি তার এ জামিনের বিষয়টি অন্য কারও বেলায় উদাহরণ হিসেবে প্রযোজ্য হবে না। এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর আপিল বিভাগে আবেদন দায়ের করে।