দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: ঢাকার তিনটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও মামলা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য এখন থেকে মোবাইলে জানা যাবে। শনিবারএ সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বিচার বিভাগের কার্যক্রমের সমন্বয়, সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আয়োজিত এক সেমিনারে শনিবার সকালে এ মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।আদালতগুলো হচ্ছে- ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত। বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে সুপ্রিমকোর্ট ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেবা চালু করেছে। দেশের ২শটি অধস্তন কোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের কার্যক্রম ও মামলা ব্যবস্থাপনায় আধুুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী,আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সেবা প্রদানে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা ও কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে সম্প্রতি এ লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছে। সারা দেশের জেলা ও দায়রা জজদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে স্মারকটি পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়সাল আতিক বিন কাদের। তথ্য চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের স্মারকে বলা হয়, জাস্টিস সেক্টর ফ্যাসিলিটি প্রকল্পের সহায়তায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরির কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জেলা ও দায়রা জজ/দফতর প্রধানদের তথ্য প্রেরণে নির্দেশ দেয়া হয় স্মারকে।অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১২৫টি ল্যাপটপ ও দুইশ’ ট্যাব। এখন ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে অটোমেটিকভাবে সাক্ষ্য নেয়া হবে। বিচারকদের দেয়া হবে এমন যন্ত্র। ফিল্ড লেভেলের প্রত্যেক বিচারককে দেয়া হচ্ছে ল্যাপটপ। দেশের প্রতিটি আদালতে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে সংযোগ চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিচার ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে ও বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি লাঘব এবং দ্রুত ও যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মামলা নিস্পত্তির জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দেশের আদালত সমূহে বছরের পর বছর অনিস্পন্ন থাকা মামলা নিস্পত্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইতোমধ্যে সার্কুলারও জারি করেছেন প্রধান বিচারপতি।
দেশের ২শটি অধস্তন কোর্টে মামলার তথ্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রর্দশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টে সার্ভারসহ পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট স্থাপন করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে আধুনীকায়ন এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা লাঘবে সহায়ক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত সমুহে মামলার তথ্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রর্দশনের ব্যবস্থা করায় মামলা সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ এখন অনেক সহজতর হয়েছে। ফলে সময় ও অর্থেরও অনেক সাশ্রয় হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।