দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন বাসের কাউন্টারে আগাম টিকেট বিক্রি চলছে।শনিবার অগ্রিম টিকেট নিতে কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। সহজে টিকেট মিললেও বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ টিকেট প্রত্যাশীদের।যাত্রীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিআরটিএ’র নির্ধারতি মূল্যেই তারা টিকেট বিক্রি করছেন।জানা গেছে, অধিকাংশ কাউন্টারেই আগামী ২২থেকে ২৪সেপ্টেম্বরের টিকেট শেষ।সড়কে যানজট না থাকলে ঈদে বিশেষ সার্ভিস থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন পরিবহন মালিকরা।এদিকে, ঈদের ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।সকাল থেকেই রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর ও শ্যামলীতে বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে আসেন টিকেটপ্রত্যাশীরা। তবে গতকালের চেয়ে ভিড় ছিল কিছুটা কম। এতে সহজেই টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেন তারা।তবে বরাবরের মতো এবারো পরিবহন সার্ভিসগুলো বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তবে টিকেট পেয়ে খুশি এসব ঘরমুখো যাত্রীরা।এদিকে, ১৫ সেপ্টম্বর থেকে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে বলে জানা গেছে রেলওয়ে সূত্রে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে রংপুর যাওয়ার জন্য বাসের টিকিট কাটতে শনিবার সকাল ১০টায় গাবতলীয় হানিফ কাউন্টারে যান মাসুদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি চাচ্ছিলেন ২০ সেপ্টেম্বরের টিকিট। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত থেকেও তিনি কাঙ্ক্ষিত টিকিটের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি টিকিট পাবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। মাসুদের অভিযোগ, অধিকাংশ কাউন্টারের টিকিট কালোবাজারে চলে গেছে। বেশি টাকা দিলেই কাউন্টারের লোকজন অন্য স্থান থেকে টিকিট এনে দিচ্ছে।প্রায় একই অভিযোগ বরিশালের টিকিট প্রত্যাশী অশিকের, খুলনার টিকিট প্রত্যাশী লালন মিয়ার, নীলফামারীর টিকিট প্রত্যাশী আব্দুল মমিনের, মাগুরা টিকিট কাটতে যাওয়া মো. ওবায়েদ মিয়ার। তারা বলছেন,কল্যাণপুর এসএ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন ও এসআর পরিবহনের কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট তারা পাননি।
কাউন্টার মালিকদের অনিয়মের কারণে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। সামনে অনেক সময় আছে, যে বেশি টাকা দিতে পারবে তিনিই টিকিট পাবেন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম। আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের মতো টিকিট বিক্রি। টিকিট কিনতে এসে কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিন না পেয়ে এরা সবাই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করার জন্যই কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকিট নেই।টিকিট না পাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ দেখয়েছেন যাত্রীরা।হানিফ পরিবহনের টিকিট বিক্রয় প্রতিনিধি মো. মোশাররফ জানান, শুক্রবারই বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের আগের তিনদিনের টিকিট ওই দিনই শেষ হয়ে যায়। ফলে শনিবার যাত্রীদের ওই তিন দিনের টিকিট দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে দু-একটি পরিবহন ওই তিনদিনের জন্য নতুন গাড়ি সংযোজন করেছে। তারা টিকিট বিক্রি করেছে।
শনিবার রাজধানীর গাবতলীতে হানিফ, ঈগল, সোহাগ, শ্যামলী, নাবিল, এ কে ট্রাভেলস, এসআরসহ বিভিন্ন কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। কয়েকটি কাউন্টারের সামনে নোটিশ দিয়ে বা মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, ২১-২৩ সেপ্টেম্বরের কোনো টিকিট নেই।সাকুরা, হানিফ, সোহাগ, ঈগল, শ্যামলী, এসআর, ডিপজল, আগমনীসহ প্রায় সব বাস কাউন্টারেই ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের কোনো টিকিট নেই। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর সকালের এবং ২০ সেপ্টেম্বরের কিছু টিকিট এখনো পাওয়া যাচ্ছে।একে ট্রাভেলস কাউন্টারের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, ঢাকা-খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের কাউন্টারে ও অনলাইনে একযোগে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এ কারণে একটু এদিক- সেদিক হতে পারে। তবে কাউন্টারের লোকজন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সুষ্ঠুভাবে টিকিট বিক্রির জন্য।