দৈনিকবার্তা-কাউখালী, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: পিরোজপুরজেলার কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার বিস্তর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিদিন। সম্প্রতি কয়েক দিনের তুমুল বৃষ্টিপাতে ভাঙনের বিস্তার আরও বাড়ছে বলে এলাকাবাসি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের সোনাকুর, আশোয়া গ্রাম, চিরাপাড়া ইউনিয়নের বেকুটিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের জোলাগাতী টাওয়ার এলাকার অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন কবলিত।প্রতিদিন সন্ধ্যার গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার কৃষি জমি আর মানুষের বসতি। বিলীন হয়েছে আমড়াজুড়ি সার্কেল অফিস (রাজস্ব), আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমড়াজুড়ি বাজার ও দত্তেরহাট, গন্ধর্ব জানকীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকার আশপাশ জুড়ে চলতি বর্ষা আর জোয়ারের প্লাবনে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া-জোলাগাতী পাঁচ কিলোমিটার এলাকার বেরিবাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় তা নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। কাউখালী সদর ইউনিয়নের সরকারী খাদ্য গুদাম, আমরাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, বিআইডবি¬উএ’র পাইলট হাউস ভাঙনের মুখে । আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের সোনাকুর গ্রামের ইন্দ্রজিত কুন্ডু (৫০) বলেন,সন্ধ্যা নদী এই রহম ভাঙতে ভাঙতে আমাগো গিলছে। তারপরও কোন কালেই ভাঙন ঠেকানোর কোন ব্যবস্থা হইল না। আগামো এই দশা দ্যাহনের কেউ নাই।
কাউখালী উপজেলার আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ লাল গুহ জানান,মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদীর দুই তীরের পূর্ব আমড়াজুরি, পশ্চিম আমড়াজুরি, আশোয়া, হরিণধারা, গন্ধর্ব, রোঙ্গাকাঠি, মাগুরা, কুমিয়ান, সোনাকুর, ও গোপালপুর গ্রামের তিন হাজার ২১০ একর আয়তন নিয়ে আমড়াজুরি ইউনিয়ন গঠিত।এ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামবাদে সবক’টি গ্রামই ভাঙন কবলিত। ভাঙন রোধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হচ্ছে না। সোনাকুর গ্রামকে রক্ষা করতে হলে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাধ নির্মাণ প্রয়োজন। এবং আমরাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এখন ভাঙ্গনের মুখোমুখি।তা ছাড়া বেরিবাঁধ পুননির্রমাণও এখন জরুরী। উপজেলা চেযারম্যান এসএম আহসান কবীর বলেন,কাউখালীকে রক্ষা করত হলে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন ঠেকাতে হবে।