দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫: জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিচল সংগ্রাম কোনো চক্রান্তকারী শক্তিই নস্যাত্ করতে পারেনি এবং জনগণের ভোটের অধিকারের প্রশ্নে খালেদা জিয়া লড়াই অব্যাহত রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন৷১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার অষ্টম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের পাঠানো ওই বাণীতে ড. রিপন বলেন,সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ ও জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বিএনপিকে তেত্রিশ বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া৷ এ নেতৃত্বকালে স্বৈরাচারী শাসন অবসানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করায় দেশবাসী তাকে আপোষহীন নেত্রী অভিধা দিয়েছে, একইসঙ্গে তাকে দেশনেত্রী হিসেবে বরণ করে নিয়েছে৷
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর ষড়যন্ত্রকারীরা তার দলের রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো৷ কিন্তু জনগণের কেড়ে নেওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের রাজনীতির পতাকাকে উড্ডীন করে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ সেই থেকে তিনি এই দেশে সকল অগণতান্ত্রিক দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই অব্যাহত রেখেছেন৷ জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে তার অবিচল সংগ্রাম চক্রান্তকারী কোনো শক্তিই পরাভূত করতে পারেনি৷ড. রিপন বলেন, স্বৈরশাসনবিরোধী নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে খালেদা জিয়া দেশে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা পুনপর্্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ তিনি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেন৷ তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের গণতান্ত্রিক-সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করতে দৃঢ় ভূমিকা পালন করেন৷বিএনপির মুখপাত্র আরও বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পধানমন্ত্রিত্বকালে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা তার কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করতে পারেনি৷ এর ফল হিসেবে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সংবিধানবর্হিভূত পন্থায় ক্ষমতা দখলকারীরা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারও নতুন খেলায় মেতে ওঠে৷ এরই অংশ হিসেবে ওই বছরে তত্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করে৷ মাইনাস টু তত্ত্বসহ নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করে ও অপপ্রচার চালিয়ে খালেদা জিয়াকে তার স্বদেশ ও জনগণের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালায়৷
বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, জনগণের অকুন্ঠ সমর্থন ও আস্থা এবং দেশ ও জনগণের প্রতি খালেদা জিয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কাছে ষড়যন্ত্রকারীদের কূটকৌশল ব্যর্থ হয়ে যায় এবং একবছর পর তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা৷ জনগণের মাঝে ফিরে এসে জনগণের ভোটের অধিকারের প্রশ্নে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন তিনি৷