Gournadi Photo 10-09-15 (2)

দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল), ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫: বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে বরিশালের গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ডে দুরপাল্লার বাসের যাত্রী ছাউনী না থাকায় রোদ, বৃষ্টি ও ঝড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বাস যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বাসের অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীরা রোদ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাসষ্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকতে হয়।জানা গেছে, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে পিএমপি প্রকল্পের অর্থায়নে গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় দুরপাল্লা ও লোকাল বাসষ্ট্যান্ডে ২টি করে ৪টি ছোট টিনসেডের যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করেছিল। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের আঘাতে ওই ৪টি যাত্রী ছাউনীর টিন উড়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গৌরনদী পৌরসভার অর্থায়নে গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় দুরপাল্ল¬ার বাসযাত্রীদের জন্য ২টি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করেছিল।

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় উচ্ছেদ অভিযান চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এসময় বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ বুলডোজার দিয়ে গৌরনদী ও টরকী বাসস্ট্যান্ডে পাকা ভবনের ওই যাত্রী ছাউনী ২টি গুড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ডে কোন যাত্রী ছাউনী না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাস যাত্রীদের। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত গৌরনদী ও টরকী বাসস্ট্যান্ডের ওই ৪টি যাত্রী ছাউনী আজও সংস্কার করেনি। গত বছর জেলা পরিষদের অর্থায়নে গৌরনদী লোকাল বাস কাউন্টার সংলগ্ন ছোট একটি পাকা যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করেন। বরিশাল নথুল্ল¬াবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা দুরপাল্লাার ও লোকাল বাস গুলো গৌরনদীর উপর দিয়ে ১২টি রুটে যাতায়াত করে আসছে।

ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্রগ্রাম, সিলেট, গোপালগঞ্জ, যশোর, বেনাপোল, মেহেরপুর, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় ২ শতাধিক দুরপাল্ল¬¬ার বাস যাতায়াত করে আসছে। এছাড়া গৌরনদীর উপর দিয়ে ভূরঘাটা, পয়সারহাট, শরিকল ও মাদারীপুরে প্রতিদিন ৮৫টি লোকাল বাস যাতায়াত করে আসছে। এ সব বাসে ওঠার জন্য হাজার হাজার বাসযাত্রীকে গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ডে এসে প্রতিদিন রোদে পুড়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এবার ঈদ ও দূগাপূজায় বাড়িতে ফেরার যাত্রীসহ হাজার হাজার যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হলে অপেক্ষমান বাস যাত্রীদের আশ্রায়ের কোন স্থান থাকেনা। যাত্রী ছাউনীর অভাবে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে প্রতিদিন হাজার হাজার বাস যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।