08-09-15-Karmojibi Dal_Addreses-1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫: দলের স্বার্থেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন করা জরুরি। বয়স্ক নেতাদের সম্মানের সঙ্গে বিদায় দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে তরুণ নেতৃত্ব আনার কথা বলেন শিক্ষাবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।তারেক রহমানের অষ্টম কারামুক্তি দিবস ও তেল গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।এমাজউদ্দিন বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে যারা সিনিয়র তাদের ভালো অবস্থানে রেখে কমবয়সী, কর্মঠ এবং যারা দক্ষ সংগঠক তাদের স্থায়ী কমিটিতে আনতে হবে। দলের পক্ষে দেশের তরুণ-তরুণী ও ছাত্রছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ করলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে বিএনপি।

তিনি বলেন, অবাধ নির্বাচন হলে শতকরা ৭২ ভাগ ভোট বিএনপির বাক্সে পড়বে। যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসবে, ততদিন অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। এটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি। আমাদের আগে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।এমাজউদ্দিন আহমেদ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভয় বা দুর্বল হওয়ার কারণ নেই। বিএনপির অনেক জনসমর্থন রয়েছে। কারণ এ পর্যন্ত যতবার ভোট হয়েছে ততবারই খালেদা জিয়া প্রতিটি আসনেই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।রাজনীতি মানে প্রতিপক্ষকে নির্যাতন নয় মন্তব্য করে সহনশীলতার মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

ড. এমাজউদ্দীন বলেন, বিএনপির দুর্বল হওয়ার কোনো কারণ নেই, দল পুনর্গঠন করারও দরকার নেই, শুধু একটু ঢেলে সাজাতে হবে। কারণ এই মুহূর্তেও যদি বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে বিএনপি পাবে শতকরা ৭২ শতাংশ ভোট।বর্তমান সরকারের সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ ভিসি বলেন, পাবলিক ব্যাংক থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে দুর্নীতি বাসা বাঁধেনি।সরকারের মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলছেন, অথচ কাজের বেলায় তলাবিহীন ঝুঁড়ি। একদিকে মন্ত্রীরা বলছেন- আমরা গণতন্ত্রের চেয়ে অর্থনৈতিক দিকে গুরুত্ব দিয়েছি। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আজকে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে একজন অর্থনীতিবিদকে প্রশ্ন করলে তিনিই ভালো উত্তর দিতে পারবেন।

তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, যখন বিশ্ববাজারে এগুলোর দাম কমছে ঠিক সেই মুহূর্তে অযৌক্তিকভাবে বাংলাদেশে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা কখনো মেনে নেয়া যায় না। এমন ঘটনা যদি ইংল্যান্ডে ঘটতো তাহলে পরেরদিনই সেই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারতো না।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তার বিকল্প নেত্রী বাংলাদেশে নেই। তার প্রমাণ যতো প্রতিকূলতার মধ্যেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তিনি জয় লাভ করেছেন।তিনি বলেন, যতোক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হবে অর্থনীতি কোনো কাজে আসবে না। জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভাপতি হাজী মো. লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএনপির সহ স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম এ হালিম প্রমুখ।