দৈনিকবার্তা-কুড়িগ্রাম, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: সকাল প্রায় ৭টা ধিরে ধিরে মানুষের ভির বাড়তে থাকে কুড়িগ্রামের চিলমারীর বড় ভিটার চর এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের মাঠে। চারদিকে একই সুর আসছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এম পি। বন্যার্থ মানুষের মাঝে বিতরন করবেন ত্রাণ সামগ্রী। ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন বানভাসী মানুষজন। এরই মধ্যে সরকারী এক কর্মকর্তারসহ ইউপি মেম্বার ও গন্যমান্য কিছু ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে থাকা অপেক্ষাকৃত মানুষজনকে হাতে ত্রাণের স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে সকলকে লাইন করে বসিয়ে দিচ্ছেন। একটু পর পরম মাইকে ঘোশনা দেয়া হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যেই মন্ত্রী চিলমারীর উদ্দ্যেশে রওনা দিবেন।
সময় গড়িয়ে বেলা ১১ টা প্রচন্ড রোদে ত্রাণের জন্য অপেক্ষাকৃত মহিলা পুরুষরা ধর্য্য নিয়েই বসে ছিল কারন মন্ত্রী আসবে তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনবে এবং ত্রাণ বিতরন করবে। কিন্তু ১১টা ১৫ মিনিটে জানিয়ে দেয়া হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আসছেন না হেলিকপ্টারের যান্ত্রীক ত্র“টির কারনে। তবে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করা হবে। পরে বেলা প্রায় ১২ টায় ২৫০জন বন্যার্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন করা হয়। এসময় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমীন, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোঃ তাবারক উল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোঃ জাফর আলী সরকার, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আঃ কুদ্দুস সরকার, উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুদ্দৌল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, নেতা কর্মীসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।