দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনটে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে ।বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের বাড়ী ঘরে পানি উঠায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সহ উচুঁ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা ও বাঙালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার যমুনা নদীর পানি ৭৭ সেঃমিঃ এবং বাঙালী নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৫ সেঃমিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ টি এম বেনজির রহমান জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৭২টি গ্রামের ২৬ হাজার পরিবারের ৭৮হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি, মাসকালাইসহ ৪’হাজার ৬১৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিও ফলে পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে । যমুনা নদীর পানির চাপে হাটশেরপুর –করমজাপাড়া রাস্তা ভেঙে গেছে। হাটশেরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল জুয়েল জানান, হাটশেরপুর সাথে যমুনার চরাঞ্চচলের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্তা চালু করার জন্য । হাটশেরপুরের নিকট যমুনার মরা নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেই সাথে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা নির্মান করা হয়েছে । বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬১ লাখ টাকা। রাস্তাটি নির্মাণ করায় গত বছর শুষ্ক মৌসুমে করমজাপাড়া, নয়াপাড়া, দিঘাপাড়া, হাটশেরপুরচর, চকরতিনাথ, ধনারপাড়া, বিরামের, পাঁচগাছি, শিমুলতাইড়, বেনিপুর, হাটবাড়ি, আওচারপাড়া, ফাজিলপুর, শ্যাওরাপাড়া, সুজাপুরচরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়। ওইসব চরের প্রায় ১০হাজার মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পেরেছে। এবারের বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে মালামাল পরিবহনে ওইসব চরের লোকজননদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। অপর দিকে বাঙালী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে গোদাগাড়ী ,চর গোদাগাড়ী , নিজ বরুরবাড়ী , পাইকপাড়া, মাছিরপাড়া, সোলারতাইড় , ডোমকান্দি , কাটাখালী গ্রাম । স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে বাঙ্গালী নদীর ভাঙ্গন রোধে জরুরী প্রতিরক্ষা মূলক কাজ করছে।