দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ : যারা প্রচলিত নিয়ম মেনে চলে না, বিধি লঙ্ঘন করে বাড়িঘর ও ভবন নির্মাণ করে, তারাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বেশি সমালোচনা করে থাকে। রোববার রাজউক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ অভিযোগ করেন।। তিনি বলেন, সারা ঢাকা শহরের প্রতিটি নির্মাণাধীন স্থাপনা সার্বক্ষণিক পরিদর্শন করার মত জনবল রাজউকের নেই। এ শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে জনগণের মধ্যেও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে এবং সকলকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রাজউকের অটোমেশন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও সেবার মানোন্নয়নে অনলাইন সেবা প্রদান চালুর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (ধ২র) কর্মসূচি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ মো. সাঈদ ও এডভোকেট নূর জাহান বেগম, রাজউক চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন, রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) আব্দুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক শেখ ইউসুফ হারুন।
পূর্তমন্ত্রী বলেন, নগর পরিকল্পনায় দূরদর্শীতার অভাবে ঢাকা শহর আজ সমস্যায় জর্জরিত। ঢাকা শহর কতদিন পর কতটুকু সম্প্রসারণ হবে, তা নগর পরিকল্পনাবিদরা অনুধাবন করতে পারেন নাই। ফলে আজ শহরের মাঝখানে তেজগাঁও শিল্পএলাকা অবস্থান করছে। ২৫ লাখ লোকের বসবাসের পরিকল্পনা নিয়ে তৎকালিন ডিআইটি যাত্রা শুরু করেছিল। সেই ঢাকা শহরের বর্তমানে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। তিনি বলেন, রাজউকের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে অসন্তোষ রয়েছে। এ অসন্তোষ দূর করতে রাজউকের সেবামূলক কার্যক্রমকে অনলাইনের আওতায় আনা হচ্চে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচি এ কাজে সহায়তা প্রদান করছে। বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসি’র সহায়তায় ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদনের কাজ অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ধানমন্ডি ও লালবাগ এলাকা এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। তখন মোবাইল ফোনে এসএমএস’র মাধ্যমে জনগণ নথির অবস্থা জানতে পারবে।
এ ছাড়াও গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, নিকুঞ্জ ও পূর্বাচল আবাসিক এলাকার ডিজিটাল আর্কাইভিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,পর্যায়ক্রমে সকল সেবামূলক কার্যক্রমকে অনলাইন সেবায় আনা হবে। রাজউকের সেবামূলক কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় আনা হলে জনগণের ভোগান্তি কমবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক শেখ ইউসুফ হারুন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রহমত উল্লাহ মো. দস্তগীর এবং রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) আব্দুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কর্মকর্তা ছাড়াও রাজউকের সেবাগ্রহীতারা অংশ গ্রহণ করেন।