দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় রোববার রাজধানী সানা কেঁপে উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ কথা জানায়। ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কয়েক ডজন জোট সৈন্য নিহত হওয়ার পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট তাদের বিমান হামলা জোরদার করার অঙ্গীকার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোটের যুদ্ধবিমান থেকে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর অনুগত দলছুট সৈন্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। এছাড়া নাহদাইন ও ফাজ্জ আত্তান পাহাড়ে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি ও সানার দক্ষিণে পার্শ্ববর্তী প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্স এবং বিশেষ বাহিনীর সদর দফতর লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরাঞ্চলীয় সুফান ও আল-নাহদা এলাকায় হুথি অবস্থানেও হামলা চালানো হয়।এতে ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য হন।শুক্রবার মারিবে একটি অস্ত্রাগারে বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আমিরাতের ৪৫, সৌদি আরবের ১০ ও বাহরাইনের ৫ জন সৈন্য নিহত হওয়ার পর এসব হামলা চালানো হচ্ছে।হুথি বিদ্রোহীরা জানায়, ছয় মাস ধরে মারাত্মক বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে তারা শুক্রবারের হামলা চালিয়েছে। এদিকে জোট বলেছে, তারা তাদের বিমান হামলা শিথিল করবে না।
গত মার্চে বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্টের শেষ আশ্রয়স্থল দেশের দ্বিতীয় নগরী আডেনে ঢুকে পড়লে প্রেসিডেন্ট আবদুরাব্বো মনসুর হাদি পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন। এর পর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন জোট ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে। সরকার অনুগত বাহিনী জুলাইতে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর পুনর্দখল করে নিলে জোট এক স্থল অভিযান শুরু করে। তখন বিদ্রোহীরা দক্ষিণাঞ্চলীয় পাঁচটি প্রদেশ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে তারা এখনো রাজধানী সানা এবং উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বেশির ভাগ অঞ্চল এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।