দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্বায়নের এ যুগে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের জ্ঞানে আলোকিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। মন্ত্রী রোববার ঢাকায় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা আয়োজিত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের ভালো-মন্দ’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়। আর তাই প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে।
যুগের চাহিদা মেটাতে বর্তমান সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাপক কর্মসূচির অংশ হিসেবে চালু করা হয় সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি একটি অত্যন্ত ভালো পদ্ধতি, এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। ঢাকার কুড়িলে যমুনা ফিউচার পার্কে দৈনিক যুগান্তর কার্যালয়ে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।আলোচনায় অংশ নেন মাধ্যমিক শিক্ষাখাত উন্নয়ন কর্মসূচির জয়েন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর রতন কুমার রায়, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফউল্ল্যা, মুন্সিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ মাকসুদ উদ্দিন, অভিভাবক ফোরাম সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু, অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ সাধারণ সম্পাদক নীপা সুলতানা এবং দৈনিক যুগান্তর উপসম্পাদক আহমেদ দিপু ও রফিকুল ইসলাম রতন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সত্যিকারের জনসম্পদে পরিণত করতে গতানুগতিক মুখস্থ নির্ভর পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। সৃজনশীল পাঠ্যপুস্তকসহ উপযোগী শিক্ষা উপকরণ উদ্ভাবন করা হয়েছে। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,সারাদেশে ৫ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, এখনও দেয়া হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে নির্বাচিত ৮০০০ স্কুলে ইংরেজি ও অংক-তে দুর্বল শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকার গৃহীত প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, একটি নতুন পদ্ধতি হিসেবে সৃজনশীল প্রদ্ধতির প্রয়োগে কিছু সমস্যা থাকতে পারে, বিজ্ঞজনসহ সংশ্লিষ্টদের সবার মতামতের ভিত্তিতে সেসব সমস্যা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে প্রতিদিনই এ বিষয়ে আলোচনা সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালাসহ অসংখ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।