Gournadi Photo..06-09-15 (1)দৈনিকবার্তা- গৌরনদী (বরিশাল), ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫: স্কুলে ক্লাস করতে ভয় লাগে। মাঝেমধ্যে ভয়ে স্কুলে আসিনা। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি ডুকে ক্লাশ রুমে পানি জমে। পায়ের নিচে ইট দিয়ে ক্লাশ করি। খেলার মাঠে হাটু পানি। তাই সমাবেশ ও চিত্ত বিনোদন করতে পারিনা।’ কথাগুলো বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনির শিক্ষার্থী আবিদুর রহমানের। শুধু আবিদুর নয়, বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৮ ‘শত শিক্ষার্থীই এভাবে আতঙ্কের মধ্যে ক্লাশ করছে। বৃষ্টির সময় ক্লাশে পানিত পড়ছেই, তার ওপর কখন তাদের মাথার ওপর ছাদের পলেস্তারা খসে পরে সেই দুচিন্তায় থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯০৫ সালের ৮ জানুয়ারি স্থানীয়দের সহযোগীতায় ৩ একর ৬২ শতক জমির উপর প্রয়াত ভূপতি বকলা প্রতিষ্ঠা করেন বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। ১৯০৭ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে এ বিদ্যাপিঠ।

Gournadi Photo..06-09-15প্রতিষ্ঠার ১১০ বছর পর আজ শ্রেণি কক্ষ সংকট, পুরাতন ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পরেছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে। এ ছাড়্া মাঠে ও বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষে হাটু পানি রয়েছে। কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যার কথা একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানালেও দীর্ঘ দিনেও কোন কাজ হয়নি। নবম শ্রেনির ছাত্রী জান্নাতুল ফৌরদাউস বলে, ‘বিদ্যালয়ে পুরাতন ভবন ও নতুন ভবনের দোতালার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ডুকে শ্রেনি কক্ষে পানি জমে যায়। সম্প্রতি ছাদের পলেস্তারা খসে পরে সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্র আহত হয়। আমরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাশ করছি।’ স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক গবিন্দ চন্দ্র নাগ বলেন, ‘স্কুলে বিশাল মাঠ থাকলেও সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পানি জমে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের সমাবেশসহ খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। দ্রুত মাঠ ভরাট দরকার।’ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিএম ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ে নানা সমস্যার বিষয়ে একাধিক বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানালেও দীর্ঘ দিনেও কোন সমাধান হয়নি। স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’ গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে স্কুল পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বরাদ্দ সাপেক্ষে সমস্যা সমাধান করা হবে।