দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ : ঢাকা ওয়াসার সায়দাবাদ পয়ঃশোধনাগারের লেগুনে মাছ চাষ বন্ধে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাই কোর্ট। এতে লেগুন এলাকা দেয়ালে ঘিরে দেওয়ার পাশাপাশি দুই মাস পর পর মাছ নিধন করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জনগণকে সতর্ক করতে সাইন বোর্ড বসিয়ে তদারকি জোরদার করতে বলেছে আদালত। রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চের দেওয়া এক রায়ে এসব নির্দেশনা আসে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
২০১১ সালে ১৩ জুলাই ওয়াসা লেগুনে বিষাক্ত মাছ খাচ্ছে ঢাকার মানুষ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট ওই বছরের ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের শুনানি শেষে ওয়াসা লেগুনে মাছ চাষ বন্ধে সাতদফা নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাগুলো হলো- এক. আগামী দুই বছরের মধ্যে লেগুন এলাকার চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।দুই. প্রতি দুই মাস পর পর ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে ওষুধ প্রয়োগ করে সব মাছ ধ্বংস করা। তিন. ওই এলাকার তদারকি করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ।চার. লেগুন এলাকায় রাত্রিকালীন টহল জোরদার করা।পাঁচ. ‘বিষাক্ত ক্ষতিকর মাছ চাষ করা এবং মাছ ধরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ লেখা সম্বলিত প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাইনবোর্ড স্থাপন করা। ছয়. লেগুনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ করা। সাত. লেগুন এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নাগরিক সমাজ গঠন করে মাছচাষ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সর্বশেষ লেগুন এলাকার চারপাশ সীমানা প্রাচীরে ঘিরে দিতে হবে