51867_153

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫: লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ পুরোপুরি সচল না হওয়ায় সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করছে। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সুন্দরবনের অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ।শনিবার সকালে পুরোনো পল্টনের মুক্তি ভবনে নৌ, সড়ক ও রেলপথ জাতীয় কমিটি আয়োজিত ‘সুন্দরবন রক্ষায় মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথের গুরুত্ব: খনন কাজের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।মতবিনিময় সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক মানবকণ্ঠের চিফ রিপোর্টার সোহেল হায়দার চৌধুরী।আলোচনা সভায় উপস্থিত প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ না হলে সরকারের কোনো ভালো উদ্যোগই সফল হবে না।

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ খননে বিআইডব্লিউটিএ-এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও করেন তিনি। প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, নৌপথটি খননের শেষপর্যায়ে নদী খনন বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) পরামর্শে বিআইডব্লিউটিএ নতুন নতুন সমস্যা তুলে ধরছে। প্রকৃতপক্ষে সিইজিআইএস একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান। তাদের পরামর্শক নিয়োগ করায় বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৃহৎ প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এছাড়া সভায় আরো বলা হয়, সিইজিআইএসের রহস্যজনক ভূমিকায় জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ প্রকল্পটির সফলতা নিয়ে ইতোমধ্যেই জোরালো আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক শ্রেণীর প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারির অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক এ প্রকল্পটির মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সভায় অন্যদেরর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাজনীতিবিদ ও নাগরিক আন্দোলনের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান।