ad-kamrul-islam

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন , পেট্রোল বোমা মারার নিদের্শ দিয়ে শিশু ও মানুষ হত্যা করেছে সেই হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদের বিচার হবে।বিএনপি লুটপাট আর সন্ত্রাসের রাজনীতি করে কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেন কামরুল।তিনি বলেন, আমেরিকার একটি বেসরকারী সংস্থা জরিপ করে বলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৫৭ ভাগ থেকে বেড়ে ৬৭ ভাগ হয়েছে। দেশে আইনের শাসন,উন্নয়ন প্রভৃতি কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সমকালীন পেক্ষাপট:বর্তমান রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরি সভাপতি, অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালকূুদার মোহাম্মদ ইউনুস এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.অধ্যাপক কামরুজ্জামান , স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব শাজাহান আলম সাজু, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার. মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও বঙ্গবন্ধু সাং ‹ৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রাণা।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এক সময়ের বিচার না হওয়ার সংস্কৃৃতি থেকে এখন বের হয়ে এসেছে। আজ প্রতিটি ঘটনার বিচার হচ্ছে । বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার বিচার হয়েছে। আট ছাত্রলীগ কর্মীকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। কে কোন দল করে- সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। সত্যিকার অর্থে কোন ব্যক্তি অপরাধী কীনা সেটাই দেখার ব্যাপার। অপরাধীকে ছাড় দেয়া হয় না। তিনি বলেন , যারা পেট্রোলবোমা মেরে স্কুল ছাত্রকে ঝলসে দেয়, যারা বাসের ড্রাইভার- হেলপারকে পেট্রোল বোমা দিয়ে হত্যা করে- তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবেনা।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ঐক্য চাই এখন এই আকুতি -মিনতি করা হচ্ছে। বেগম জিয়ার এ কথা আগে ছিল কোথায়? আইনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা সুর বদল করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন এতো মামলা ও তারা কেন জেলে – বিএনপি নেতারা এ প্রশ্ন করে থাকেন। যখন পেট্রোলবোমা মারার জন্য জেলখানা থেকে নেতারা নির্দেশ দেয় , অর্থ দেয়, তাদের কি ছাড় দেয়া হবে ? এটা ভাবতে হবে। ভারতের কারাগারে থাকা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট মেমনের ফাঁসি হয়েছে। মুম্বাই হামলার পিছনে তার হাত ছিল। তিনি অর্থের যোগানও বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছিলেন। মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া এখন হা হুতাশ করেন । তিনি নির্বাচনে এলেন না কেন- তা জানিনা। তারা আসলে নির্বাচন আরো জমজমাট হতো। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হয়েছে। এ সরকার ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।