দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫: তিন লাখ সেনা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের সত্তরতম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে এক সামরিক কুচকাওয়াজে তিনি এ ঘোষণা দেন।১৯৮০ সালের পর থেকে এ নিয়ে চতুর্থবারের মত এত বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্য কমানোর ঘোষণা দিলো চীন।‘জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের জনগণের প্রতিরোধ এবং বিশ্বের ফ্যাসিস্ট বিরোধী যুদ্ধ’র সত্তরতম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ও সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। কুচকাওয়াজে অংশ নেয় চীনের পিপলস রিপাবলিক আর্মির কয়েক হাজার সেনা। কুচকাওয়াজে চীনা সামরিক বাহিনীতে সদ্য সংযোজিত বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র প্রদর্শিত হয়।
১৯৮০ সালে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেয়ার পর ১৯৮৫ সালে একবারে দশ লাখ সেনা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলো তৎকালীন চীন সরকার। সামরিক বাহিনীর মানোন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে নেয়া হয় এই পদক্ষেপ। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৭ সালে পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সদস্য সংখ্যা ৪২ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৩২ লাখ ৩৫ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে আরও ছাঁটাইয়ের ফলে ১৯৯০ সালে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ লাখ ৯৯ হাজার। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে মোট দশ লাখ ৩৯ হাজার সেনা কমিয়ে আনে চীন।পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে তিন বছরের মধ্যে আরও ৫ লাখ সেনা হ্রাসের ঘোষণা দেয় চীন। এর মধ্য দিয়ে চীনের উদ্দেশ্য ছিলো সেনা সংখ্যা ২৫ লাখে নামিয়ে আনা।২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে তৃতীয় দফা ছাঁটাইয়ের সময় আরও দুই লাখ সেনা কমানো হয়। এতে সেনা সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩ লাখে।চীনা প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আরও তিন লাখ সেনা কমানো হলে সামরিক বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াবে ২০ লাখে।