দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: ফরিদপুরে দুটি বাসের সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৫ জন। বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের জামতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টেকেরহাট থেকে ফরিদপুরগামী রাব্বী পরিবহন নামের একটি মিনিবাসের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে টেকেরহাটগামী মৃধা ডিলাক্স নামের অপর একটি মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে টেকেরহাটগামী মৃধা ডিলাক্স বাসটি রাস্তার ডানপাশের খাদে পড়ে যায়।এ দুর্ঘটনায় মৃধা ডিলাক্সের সুপারভাইজার ফরিদপুর সদর উপজেলার কাফুরা গ্রামের করুণ দত্ত (৪৫), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মহারাজপুর এলাকার হাবিব শেখ (৫০) এবং আনুমানিক ৩৭ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে আনার পর মারা যান আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী এক নারী ও দুই বছর বয়সী এক শিশু। প্রত্যক্ষদর্শী জামতলা এলাকার লিয়াকত হোসেন জানান, একটি নসিমনকে সাইড দিতে গিয়ে দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর ফলে একটি বাস রাস্তার ডানপাশে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর দল এসে হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গণপতি বিশ্বাস বলেন, এ দুর্ঘটনায় আহত ৬৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আহত একজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ৫৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুর রশিদ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।
এদিকে,গোপালগঞ্জে বাসের চাপায় টিপু কাজী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পুলিশ লাইন্স মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতর টিপু কাজী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জগাচ্চর গ্রামের সৈয়দ আলী কাজীর ছেলে।গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কবর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা জানান, ওই স্থানে মহাসড়ক পাড় হতে গেলে ঢাকাগামী বনফুল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস টিপু কাজীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ এ ঘটনায় মুকসুদপুর উপজেলার বড়ইতলা থেকে ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। তবে চালক ও হেলপার বাসটি ফেলে রেখে পলিয়ে যায়।
