Doinikbarta-hannan shah

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ২ সেপ্টেম্বর : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (আব.) হান্নান শাহ্ বলেছেন, মন্ত্রিদের গাফলতির কারণে রাজধানী ঢাকা ক্রমাগত ডুবছে। ঢাকার মতো আওয়ামী লীগ সরকারও ডুববে। বুধবার সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী প্রত্যাগত প্রবাসী দল আয়োজিত ‘বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও জাতীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।হান্নান শাহ্ বলেন, বিএনপি সাতবছর ক্ষমতায় নেই। বর্তমানে যে সব মন্ত্রী দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের গাফলতিতে ঢাকা ক্রমাগত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।প্রবাসীদের কল্যাণে সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে শ্রমবাজার বন্ধ হচ্ছে সরকারের গাফিলতিতে। আর সেই বন্ধ শ্রমবাজার চালু করতে এবং নতুন শ্রমবাজার খুলতে সরকার ব্যর্থ।

অন্য সব ব্যর্থতার মতো শ্রমবাজারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে যত শিগগির অবৈধ সরকার পদত্যাগ করবে, ততই দেশ ও জাতির মঙ্গল বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা এম এ হান্নান শাহ।বিএনপির পুনর্গঠন বিষয়ে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আগামী দিনের আন্দোলনকে আরো জোরালো করার লক্ষ্যে দলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আর এখানে ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতারাই প্রাধান্য পাবেন।তিনি বলেন, বিগত দিনের মতো কমিটি গঠনে আর তদবির করে কেউ পদ পাবেন না।

নারীদের প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ দুর্বলতা আছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, এরশাদকে বিশ্ব বেহায়া বলে সবাই আখ্যায়িত করে। কিন্তু এরশাদ আমার বন্ধু। সেক্ষেত্রে আমিও মনে হয় একটু বেহায়া।তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা শহরে যেসব মন্ত্রী দায়িত্বে আছেন তাদের গাফিলতির কারণে গতকাল রাজধানী ডুবে গিয়েছিল। সেইদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন আওয়ামী লীগও ডুবে যাবে। বিএনপি যদি রাজপথে ১০ শতাংশ জনগণও নামাতে পারে তাহলে এরপর দিন আওয়ামী লীগ সরকারের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় নেতাদের মুক্তির দাবি শীর্ষক এ আলোচনা সভায় হান্নান শাহ বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি ব্যর্থ সরকার। তাই আওয়ামী লীগ সরকার যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল। অন্যথায় তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলছে এবং চলবে। আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সারাদেশের জেলা পর্যায়ে কমিটিগুলো পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।হান্নান শাহ বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার জানাজায় একটি মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার ছোটছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। এরই মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়েছে জনগণ আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপিকে চায়।আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এসএম সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।