দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গত ছয় বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন ও ভারতের সাথে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। চীন তার প্রতিবেশী দেশ ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটানসহ আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে আঞ্চলিক উন্নয়নে বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চীন দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের শিল্প, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ও সেবাখাতে বিনিয়োগ করে আসছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত সম্পর্ক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত ও সাবেক শিল্প মন্ত্রী দীলিপ বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিন কোয়াং, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো ও চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়জুর রহমান প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে সুসম বিশ্বায়ন গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীন যে ভূমিকা পালন করছে তাতে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ তা ভিন্ন চোখে দেখছে। কিন্তু চীন তার নীতি ও কৌশলে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নে কাজ করছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশের উন্নয়নে চীনের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের উন্নয়নে চীন একটি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করছে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের উন্নয়নে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক আরো মজবুত হতে পারে।বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিন কোয়াং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বিদ্যুৎ ও আর্থিক সহযোগিতা বিষয়ক বহু চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। ভবিষ্যতে চীন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগে আরো বেশি অবদান রেখে উভয় দেশ আরো সুসম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি চীনের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উভয় দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিদিল বিনিময় আরো বাড়াতো হবে। যাতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও নীতি-নির্ধারকগণ একে অপরকে আরো গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে পারে। এতে বাংলাদেশের ব্যাপক উদ্বৃত্ত জনশক্তির কর্মসংস্থান হবে।সভাপতির বক্তব্যে দীলিপ বড়–য়া বলেন, ৪০ বছরের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরো জোরদার করতে হলে বাংলাদেশ ও চীনের সাধারণ জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় চীনের সহযোগিতাকে আরো বেশি কাজে লাগাতে হবে।