01-09-15-press
দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ : গত ৩১/০৮/২০১৫ তারিখ রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালটাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ জালটাকা প্রস্তুতকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ বাদশা মিয়া, মোঃ আঃ জলিল, মোঃ জয়নাল খন্দকার, মোঃ রায়েজিদ বোস্তামী, মোঃ মহসিন@ ওয়াসিম ও মোঃ সোহাগ। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ১ কোটি ২০ লক্ষ জালটাকা (এরমধ্যে আসামী জলিলের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ, জয়নালের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ, বায়েজিদের কাছ থেকে ২৩ লক্ষ মূল্যমানে বাংলাদেশী জালনোট এবং প্রায় ৮৬ লক্ষ ছাপানো, ২৪লক্ষ অর্ধছাপানো জালটাকসহ জালটাকা তৈরির কাগজ, ২০টি ফ্রেম, রং, নিরাপত্তা সুতা, ০৫টি ল্যাপটপ, ০১টি ডেক্সটপ, ০৫টি প্রিন্টার ও টাকা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্বার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ বাদশা মিয়া জানায়, দীর্ঘ প্রায় ৯/১০ বছর যাবৎ সে জালটাকার ব্যবসার সাথে জড়িত । বিভিন্ন সময় সে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ী ভাড়া নিয়ে জালটাকা তেরীর কারখানা স্থাপন করে বিপুল পরিমান জালটাকা, ভারতীয় রুপি, ডলার, ইউরোসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের টাকা তৈরি করে দেশব্যাপী বিস্তৃত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে বাজারজাত করে থাকে। গ্রেফতারকৃতরা আরও জানায়, জাল টাকা তৈরীর কার্যক্রম ৩ স্থরে বিভক্ত। প্রথমে যারা তাদের কাজ হল টাকার যাবতীয় নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত কাগজ তৈরি করে বাদশা মিয়ার চাহিদা অনুয়ায়ী সরবরাহ করা। পরবর্তী সময়ে মোঃ বাদশা মিয়া, মোঃ আঃ জলিল, মোঃ জয়নাল খন্দকার, মোঃ রায়েজিদ বোস্তামী, মোঃ মহসিন ওরফে ওয়াসিম এবং মোঃ সোহাগদের নিয়ে উক্ত কাগজে কম্পিউটার ও প্রিন্টারের মাধ্যমে টাকার ছাপদিয়ে টাকা তৈরী করা। অন্য এক গ্রুপের কাজ হল দেশব্যাপী বি¯ৃÍত সরবরাহকারী গ্রুপের মাধ্যমে উক্ত জালটাকা বাজারজাত করা। এই সরবরাহকারী গ্রুপে আছে সহযোগী পলাতক আসামী মাহবুব মোল্লা, সেলিম মিয়া, হানিফ গাজী, জামান, ইমন ও রাজু।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা মূলত আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে যখন সারা সারাদেশ টাকা পয়সা লেনদেন বেড়ে যায় এই সময় তারা দেশব্যাপী জালটাকা সরবরাহ করার জন্য তারা চেষ্টা করছিল। উল্লেখ্য, জালটাকা প্রস্তুতকারী চক্রের বিরুদ্ধে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের ডিসি-ডিবি মোঃ সাজ্জাদুর রহমান (পশ্চিম) এর সার্বিক নিদের্শনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এর তত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ নাসের জনি’র নেতৃত্বে এ অভিযানটি পরিচালিত হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার, মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।