দৈনিকবার্তা-বগুড়া , ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: বগুড়ার ধুনটে যমুনা ও বাঙালী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে নদী দু’টির তীরবর্তি এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার আবদুল হামিদ জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানি ১৮ ঘন্টায় ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যমুনা নদীর পানি। বর্তমানে যমুনা ও বাঙালী নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
নিমগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাউদৌলা রিপন জানান, বাঙালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জয়সিং, ফরিদপুর ও বেড়েরবাড়ী গ্রামের নি¤œাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এতে কৃষকের ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। তবে বসতবাড়ীতে পানি ওঠে নাই। এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ তারেক হেলাল জানান, বাঙালী নদীতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি বিলচাপড়ী, শৈলমারী, তারাকান্দি ও হাঁসাপোটল গ্রামের নি¤œাঞ্চলে প্রবেশ করেছে।ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভিতরের দক্ষিণ শহরাবাড়ী, উত্তর শহরাবাড়ী, রাধানগর, শিমুলবাড়ী, বানিয়াজান, কৈয়াগাড়ী, রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ী, ভূতবাড়ী, পুকুরিয়া, মাধবডাঙ্গা, নিউসারিয়াকান্দি গ্রাম এবং বথুয়ারভিটা ও বৈশাখী চরের ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। পানিবন্দি পরিবার গুলো চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। নতুন করে পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় দূর্ভোগ আরো বেশি হয়েছে।