দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে এ মামলাটি চলতে আর বাধা নেই।বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।আদেশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে মোশাররফ হোসেনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনকে আসামি করে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন।মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী প্রমুখ।
২০০৮ সালে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মোশাররফ হোসেন। একই বছর তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন হাইকোর্ট। ওই সময় থেকে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল। আজ ওই রিট খারিজ করার পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমর ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেন আদালত।একই মামলা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনও সম্প্রতি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকেও বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।২০০৭ ও ২০০৮ সালে মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন ও রুল দেন। ওই সময় থেকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল। তবে এ বছরের ৫ আগস্ট ওই স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট।